কংগ্রেস বনাম বিজেপি ‘ফেসবুক তরজা’, শশী থারুরের সমর্থনে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমেরিকান সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত তথ্যে বলা হয় কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক মুনাফার কথা মাথায় রেখে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক। যা নিয়ে কার্যত জলঘোলা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
কংগ্রেস লোকসভা সাংসদ শশী থারুর জানিয়েছেন, শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত রিপোর্টে যা লেখা হয়েছে তা সত্য কিনা যাচাই করতে ফেসবুককে তলব করা হোক।
পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির আইটি বিভাগ এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাতেই বেজায় চটেছে বিজেপি।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বিপক্ষ নিয়ে বলেন এরকম কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার কংগ্রেস সাংসদের নেই। এবিষয়ে স্পিকার ওম বিড়লাকে জানানোর জন্য সকল বিজেপি এবং এনডিএ সাংসদদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। যদিও এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ে মৈত্র শশী থারুরের পক্ষ নিয়েছেন।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদপত্র এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রকাশ্যে তেলেঙ্গানার সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার কথা বলছেন টি রাজাম কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ফেসবুক।
বিতর্কের অবসান, নতুন পদে আস্তানা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একজন ফেসবুক কর্তার মাধ্যমে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবসায়িক মুনাফার লাভের কথা ভেবেই এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে ফেসবুক।
রবিবার টুইটারে শশী থারুর জানান, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত তথ্যে ভিত্তিতে ফেসবুককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি বিভাগ।
মানুষের অধিকারকে অবগত করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দুর্ব্যবহার রুখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। যা রিটুইট করে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যিনি ওই কমিটির সদস্য। তাঁর বক্তব্য, কমিটির সদস্যদের এবিষয়ে কিছু না জানিয়ে চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। স্পিকার এবং কমিটির নির্দেশ ছাড়া আপনি কখনোই রাহুল গান্ধীর এজেন্ডাকে সামনে রাখতে পারেন না।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টুইট করে তিনি বলেন, আমিও আইটি কমিটির সদস্য। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সকলের সহমত রয়েছে।
Am IT comm member – agenda item was already agreed & bulletinized with Speaker's approval at the beginning of the year. When to schedule each item & who to call is Chairman's prerogative
Amazing how @BJP jumps up & down at anything to do with FB’s interests! https://t.co/O1cNN0lO7R pic.twitter.com/FKBbBnNXQB
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) August 17, 2020
অধিবেশন শুরু হলেই এবিষয়ে স্পিকারের পরামর্শ নেওয়া হবে। এমনকি গোটা বিষয়ের জন্য কাকে ডাকা হবে সেবিষয়েও ওই এজেন্ডাতে উল্লেখ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিন সাংসদের মধ্যে একাধিক বাদানুবাদ চলে।
অন্যদিকে ভারতীয় ফেসবুক পলিসি আধিকারিক আখি দাস জানিয়েছেন, অফলাইন এবং অনলাইন দুটি ক্ষেত্রেই তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।