পথে খারাপ ‘কোবাস’, কেন বার বার বাংলায় পাঠানো জিনিসগুলির ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মনে করা হচ্ছিল রাজ্যে কোভিড পরীক্ষার খোলনলচে বদলে দেবে ‘কোবাস ৮৮০০’। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি পূর্ব ঘোষণামতো চালু হচ্ছে না স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ‘কোবাস’।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ‘কোবাসের’ চলতি মাসে চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন করে বিপত্তি না-হলে এই বিদেশিযন্ত্র চালু হতে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ লেগে যাবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ছ’কোটি টাকায় বিদেশ থেকে এই যন্ত্র আমদানী করা হয়।
গত শুক্রবার যন্ত্রের ভার আইসিএমআর-নাইসেডের হাতে তুলে দেয় যন্ত্র সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সোমবার থেকে এর দৌলতে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে প্রস্তুত বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েও দেন নাইসেড কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু পরমুহূর্তেই নাইসেড জানিয়ে দেয়,সড়কপথে যন্ত্র নিয়ে আসার সময় একটি মডিউল খারাপ হয়েছে। যন্ত্রের একটি মডিউল বিকল হওয়ায় এখন প্রতিদিন তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে না ‘কোবাস’। যা পরিস্থিতি তাতে দিনে ১২০০-র বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে না।
করোনা রুখতে ইলেকট্রনিক মাস্ক তৈরির উদ্যোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
মোদি সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছিল, রাজ্যের কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা আশানুরূপ নয়। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার যখন টেস্ট বৃদ্ধির ওপর বেশি করে জোর দিচ্ছে ঠিক তখন কখন দেখা গিয়েছে, কিটের গুণগত মান খারাপ যা শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে হচ্ছে। আবার কখনও ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্র পাঠানো হচ্ছে।
ফলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না চক্রান্তের তত্ত্ব। একসঙ্গে লড়াইয়ের কথা বলেও কেন বাংলাই বারবার ভুক্তভুগী হচ্ছে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলের একাংশ।
পথে আসতে গিয়ে যন্ত্রাংশ খারাপ হলে সত্যিই কারও কিছু করার নেই।তবে বারবার এই ধরণের ঘটনা বাংলার সঙ্গে কেন ঘটছে। এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই তো।