বেলুড় মঠে সন্ন্যাসী ও আবাসিক মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত ৩০
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় মঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। র্যাপিড টেস্টেই ধরা পড়ল মঠের সন্ন্যাসী ও আবাসিক মিলিয়ে ৩০জন আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে।
তবে তাঁদের কেউই বিষয়টি বুঝতেও পারেননি কোনও উপসর্গ না থাকায়। বুধবার রাতের মধ্যেই অবশ্য তাঁদের সবাইকে মঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও প্রত্যেককে দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাঁদের সকলের অবস্থা স্থিতিশীল।
মারণ ভাইরাস যাতে মঠের অন্দরে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য চলতি মাসের ২ তারিখ থেকেই ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। কিন্তু দেখা গেল ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি।
এক আধজনের শরীরে নয়, ৩০জনের শরীরে বাসা বেঁধে করোনা। গত সপ্তাহে মঠের ৬০০ জন বাসিন্দার র্যা পিড করোনা টেস্ট হয়। সেই ৬০০জনের মধ্যে সন্ন্যাসী ও মহারাজরাও ছিলেন।
লোকসানের চাপে অনশনের পথে হাঁটতে পারে বেসরকারি বাস মালিকরা
সেই টেস্টের ফল এলে দেখা যায় সন্ন্যাসী ও আবাসিক মিলিয়ে ৩০ জন আক্রান্ত মারণ ভাইরাসে। বুধবার সন্ধ্যায় সেই রিপোর্ট মেলার পরেই ওই ৩০ জনকে দ্রুত মঠ থেকে সরিয়ে দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই তাঁদের চিকিত্সা চলছে। সকলের অবস্থা স্থিতিশীল।
উল্লেখ্য ২৫ মার্চ জনতা কার্ফুর সময় থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেলুড় মঠ। আনলক পর্বে জুন মাসের শেষ দিকে আবারও খোলা হয় বেলুড় মঠের দরজা। এরপর ফের ২ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বেলুড় মঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মূলত উত্তর হাওড়া ও মঠের আশেপাশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মঠ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন দেখা গেল এই সিদ্ধান্তও মঠের অন্দরে মারণ ভাইরাসের হানাদারি ঠেকাতে সক্ষম হয়নি।