পরিবেশ আদালত বিশ্বভারতীকে পাঁচিল বা ফেন্সিং দিতে বলেনি: সুভাষ দত্ত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিশ্ব ভারতী অপব্যাখ্যা করে বলছে, তারা গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ফেন্সিং বা পাঁচিল দিচ্ছিল। ট্রাইব্যুনাল শুধু বলেছে মেলার মাঠকে ব্যারিকেড করতে। ব্যারিকেড অস্থায়ী, তা ফেন্সিং বা ওয়ালিং নয়। শনিবার বোলপুরে প্রেস মিট করে জানান পরিবেশ বিদ তথা পৌষ মেলায় পরিবেশ দূষণ সঙ্ক্রান্ত মনিটরিং কমিটির সদস্য।
এদিন তিনি বলেন, ১৯ অগাস্ট এই মামলার নিষ্পত্তি ঘটেছে। তবে বিশ্ব ভারতী জেলা শাসককে জানিয়েছে, তারা পৌষ মেলা করবে না। তারপরও আদালত সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ঠিকঠাক পালন হচ্ছে কিনা, দেখার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বলেছে। তা মানা না হলে, সুভাষ দত্তকে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। মেলা হওয়া বা মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া না দেওয়া পরিবেশ আদালতের বিচার্য নয়।
তবে এদিন সুভাষ দত্ত বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, বোলপুরের যে কোন জায়গায় এই মেলা করতে। কারণ এর সঙ্গে শুধু জীবিকা নয়, মানুষের সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে।
অন্যদিকে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বিশ্ব ভারতীকে পাঁচিল সঙ্ক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট তলব করার পর, বিশ্ব ভারতী আত্মপক্ষ সমর্থনে কতগুলো যুক্তি খাড়া করেছে।
তাঁদের বক্তব্য মূল মেলার মাঠ অবশ্যই হেরিটেজ সাইট। যেখানে আগে মেলা হতো। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণের ২০ বছর পর বর্তমান মাঠে মেলা হয়ে আসছে। কারণ মেলা বহরে বেড়েছে। এই জায়গা শান্তি নিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি।
এবার ঘরে বসেই এক ক্লিকেই নতুন বাড়ির আবেদন করতে পারবে কলকাতা বাসী
১৯৪৬-৪৭ সালে শ্রীশ চন্দ্র মজুমদারের কাছ থেকে কেনা। তাই মেলা ঐতিহ্যের হলেও, বর্তমান মাঠটি নয়। শ্রী নিকেতনের কুঠিবাড়ির কাছে ঐতিহ্য বাহী মাঠ যথাক্রমে ২০০৫ এবং ২০১৪ সালে ঘেরা হয়।
২০০৮-৯ সালে বিনয় ভবনের মাঠ ঘেরা হয়। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল আছে। পৌষ মেলার মাঠের পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণে কবরস্থানের কাছে ৬ ফুট পাঁচিল আছে।
কবরস্থানের কাছে পাঁচিলটি ২৫ বছর আগের। ৪-৫ বছর আগে, এস এস ডি এ, রাজ্য তহবিলের টাকায় তা সংস্কার করেছে।
এছাড়াও এই বারোয়ারি পিকনিক স্পট, ট্রাক্টর ট্রেনিংয়ের স্থান, মানুষ ও বাইকের যাতায়াতের পথ হয়েছে। অথচ সম্প্রতি সি এ বি এখানে রঞ্জি ট্রফি মানের খেলার আয়োজন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।