কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী ! জল্পনা তুঙ্গে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, সাংসদ, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ২০ জনের তরফে দলের মুল্যায়ন এবং সর্বোচ্চ পদ নিয়ে চিঠি দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার কংগ্রেসের তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার আগে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচনেত জন্য সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন ২০ জন সদস্য। এতেই কার্যত উত্তেজনা বেড়েছে নিউ দিল্লির ২৪ নং আকবর রোডে৷
চিঠিতে দীর্ঘ মেয়াদী সভাপতি নির্বাচনের কথা জানানো হয়েছে। তার পাশাপাশি এমন একজনকে বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে যিনি মাঠে নেমে রাজনীতি করতে পারবেন। তবে এর মধ্যে সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীকে ছোট করার কথা বলা হয়নি। বরং আবেদনকারীর একজনের কথায়, আমরা রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর ছত্রছায়ায় থেকে কাজ করতে চাই।
গত ৭ অগাস্ট পাঠানো ওই চিঠিতে নতুন সভাপতি নির্বাচনের পাশাপাশি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গঠন নির্বাচনের মাধ্যমে হত, পরে তা পরিবর্তন করা হয়। সেখানে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের দায়িত্বভার পড়ে হাইকম্যান্ডের ওপর।
শুধুমাত্র ২০ জন নয়, সভাপতি পদের জন্য কপিল সিব্বাল এবং শশী থারুরের মতো বর্ষীয়ান নেতারা সরব হন।
গত সপ্তাহে প্রাক্তন কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝাঁ টুইট করে বলেন, দলের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। পরে সঞ্জয় ঝাঁকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, বিজেপির ইশারায় কাজ করছেন সঞ্জয়।
পরিবেশ আদালত বিশ্বভারতীকে পাঁচিল বা ফেন্সিং দিতে বলেনি: সুভাষ দত্ত
গত লোকসভা নির্বাচনে হারের পর কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। কার্যকরী সভাপতি পদে বসেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারণে সেই পদ থেকে সরতে চলেছেন তিনি। তাই নতুন পদে কে বসবেন সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
রাহুল গান্ধীর অনুগামীরা সভাপতি পদে রাহুলকে চাইছেন। আবার গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কাউকে সভাপতি পদে দেখতে চান রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
আগামী নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন তারপর রয়েছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে সভাপতি নির্বাচন করুক ভারতের সবচেয়ে পুরানো দল। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।