মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ অক্টোবরে শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল অক্টোবর মাসের মধ্যে মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করতে চায়। কিন্তু রেলের অসহযোগিতার কারণে আরও একবার সেই কাজ আটকে গেল বলে অভিযোগ।
রেলের তরফে বিয়ারিং ইনস্টলেশনের অনুমতি না দেওয়ায় বর্তমানে এই কাজ সম্পূর্ণভাবে থমকে রয়েছে। ফলে সময়ে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ১৮ মার্চ রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের তরফে ১২ টি বিয়ারিং ইনস্টলেশনের জন্য রেলের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহ চলে গেলেও সেই অনুমতি এখনও আসেনি। আর এর কারণেই মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ।
রেলের এই অসহযোগিতায় বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। কারণ মাজেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় রাজ্যের বহু মানুষকে দীর্ঘদিন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে। রাজ্য সরকার চেয়েছিল দ্রুত তাদের এই অসুবিধা থেকে মুক্ত করতে।
কিন্তু রেল সহযোগিতা না করায় এই ব্রীজ সময়ে শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে গত ১৫ ই আগস্ট থেকে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে। বিয়ারিং ইনস্টলেশনের অনুমতি না এলে পরবর্তী পর্যায়ের কাজ করা সম্ভব নয়।
২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৭৫ হাজার
এদিকে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মাঝেরহাট ব্রিজের বিয়ারিংর নকশা এখনো তারা খতিয়ে দেখছেন। তা পর্যালোচনা করার পর, সাইট ভিজিট করবেন রেলের আধিকারিকরা। তারপরই মিলতে পারে ছাড়পত্র।
যদিও রেলের তরফেও অহেতুক দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি এও জানা যাচ্ছে, নকশা পর্যালোচনা করার পর যাতে দ্রুত অনুমতি দেওয়া যায় তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় পুজোর মধ্যে মাঝেরহাট ব্রিজ খোলা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য,২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে। তার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে।
রাজ্য সরকার আগামী অক্টোবরের মধ্যে দ্রুত কাজ শেষ করতে চেয়েছিল। নতুন রূপে মাঝেরহাট সেতু চালু হলে, বেহালা, নিউআলিপুর, ঠাকুরপুকুর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ আগের মতোই স্বাভাবিক হবে।