টানা দু’দিন এনআইএ-র দীর্ঘ জেরা ছত্রধর মাহাতকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত জুলাই মাসে রাজ্যে সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে দলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে দিয়েছেন ছত্রধর মাহাতকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জঙ্গলমহলে ঘাসফুলের জমি পোক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। ঠিক এই সময়েই ১১ বছরের পুরোনো মামলায় তাঁকে জেরা শুরু করেছে এনআইএ।
শুক্রবার, ২৮ আগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে ২০৭ নম্বর কোবরা ব্যাটেলিয়ানের দফতরে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত ছত্রধর মাহাতোকে ম্যারাথন জেরা করে এনআইএ অফিসাররা। ফের শনিবার, ২৯ আগস্ট দ্বিতীয় দিন সকাল নটার সময় ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা শালবনির কোবরাক্যাম্পে প্রবেশ করে।
২০০৯ সালে ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক ও সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ছত্রধর মাহাতোর কথায়, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁকে বারবার সমন পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতেই হবে
শুক্রবার লালগড়ের ধরমপুর অঞ্চলের শালবনি গ্রামে মাওবাদীদের হাতে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতোর খুনের ঘটনায় ছত্রধরকে জেরা করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস আটকের মামলায় জেরার কথা জানানো হয়েছে। ছত্রধর এ দিনই এনআইএ অফিসারদের জানান, রাজধানী এক্সপ্রেস আটকের সময় তিনি জেলবন্দি ছিলেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ছত্রধর মাহাত দায়িত্ব পেতেই নতুন করে সেথানে পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠছে ঘাসফুল শিবির। ঠিক সেই মুহুর্তে তাই ১১ বছরের পুরোন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে নতুন করে বিপাকে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেও এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের ভাষণে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছত্রধর মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কী রিপোর্ট পেশ করেন গোয়েন্দা সংস্থা, অপেক্ষা তার।