ফেসবুক ও বিজেপির আতাঁত নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে সরব হবে তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফেসবুক ও বিজেপির আতাঁত নিয়ে এবার সংসদীয় কমিটিতে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে এবার সংসদীয় তথ্যপ্রযুক্তি কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিজেপি ও ফেসবুকের যোগসাজশে বিরোধীদের বক্তব্য চেপে দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল চলছে দেশে। জানা গিয়েছে এই বিষয়টি সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের দুই সাংসদকে।

এই মুহূর্তে এই কমিটিতে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র ও নাদিমুল হক। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার তাঁরা দলের বক্তব্য তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাবেন।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে তথ্য–সহ দাবি করা হয়েছে, ভারতে নির্বাচনে বিজেপি–কে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিতে অনৈতিকভাবে কাজ করেছে ফেসবুক।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক সংস্থার কর্মীদের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ প্রতিরোধ আইন’ প্রয়োগে ক্রমাগত বাধা দিয়ে চলেছেন ফেসবুকের ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক আঁখি দাস।

বলা হয় ফেসবুক কর্মীদের আঁখি বলেছেন, গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায় ক্ষতি হবে। ওই রিপোর্টের পর থেকেই দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে।

সংসদের নথি বলছে, দেশে ফেসবুক ও বিজেপি–র অনৈতিক যোগসাজশ নিয়ে প্রথম সরব হয়েছিল তৃণমূল। একবছর আগে সংসদে প্রথম ফেসবুক ও বিজেপি–র আঁতাতের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।

২০১৯–এর ২৫ জুনের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ও ফেসবুকের গোপন আঁতাতের অভিযোগে রাজ্যসভায় ঝড় তুলেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।

সে সময় শাসক দল তো বটেই, বিরোধী দলগুলো, এমনকী সংবাদমাধ্যমও তৃণমূলের অভিযোগে কর্ণপাত করেনি। তবে এখানে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় তৃণমূল। তাই স্থায়ী কমিটিতে বিষয়টি তুলে সরব হবে তৃণমূল।

এদিকে পরিকল্পনা করে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় এর বিরুদ্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নালিশ তৃণমূলের। ঘটনার সূত্রপাত ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/after-sramajibi-canteen-the-public-health-center-is-built-dr-fuad-halim-besides-in-man/

অভিযোগ ওঠে ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময় কয়েকশো ছাত্রনেতার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে হয়। একইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ।

জানা গিয়েছে, এর প্রতিবাদ করে ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখল তৃণমূল। দলের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়।

দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা জানিয়েছেন, ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল।

লকডাউনের কারণে ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য লাইভ সম্প্রচারের বন্দোবস্ত ছিল।

কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে ঠিক ওই সময়েই কয়েকশো ছাত্রনেতার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। কোনও কারণ ছাড়াই এমন ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। তাঁরা মনে করছে এর পিছনে রয়েছে বিজেপি ও ফেসবুকের অশুভ আঁতাত।

সম্পর্কিত পোস্ট