কবে থেকে কলকাতা মেট্রো তা জানতে শুক্রবার ফের বৈঠক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী ১৪ অথবা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চলতে পারে মেট্রো। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চূড়ান্ত হল না। তবে সিদ্ধান্ত হতে পারে শুক্রবার।
আজ ফের মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে রাজ্য। তবে এবার বৈঠক হবে মেট্রো ভবনে। থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। এদিন নবান্নের বৈঠকে রাজ্যের তরফে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভিড় ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা তা নিয়েই মূলত আলোচনা।
তবে নবান্নের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে, আগামী ১৪ অথবা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চলতে পারে। প্রাথমিকভাবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে সপ্তাহে ৬ দিন।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই মেট্রো চালু হতে পারে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
উল্লেখ্য, এদিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় একেকটি গাড়িতে গড়ে ৪৫০ জন যাত্রী সফর করলে, তবেই সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা যাবে, যারা ট্রেনে বসবেন, তাঁদের একটি করে সিট ফাঁকা রেখে বসতে হবে।
যারা দাঁড়াবেন তাঁদেরও এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। প্ল্যাটফর্মে, টিকিট কাউন্টারেও তেমনই – ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে ঠিক কোন দিন থেকে কলকাতায় মেট্রো চলাচল ফের শুরু হবে, সেই দিন কিন্তু স্থির হল না এদিনের বৈঠকে।
সূত্রের খবর, মেট্রোর তরফে যাঁরা এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কারওরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা যা যা উঠে এসেছে, তা জানানো হবে মেট্রোরেলের জিএম-কে। এরপর তিনিই নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে মেট্রো পরিষেবা দিতে রাজ্যের সাহায্যের আবেদন করেন মেট্রো কর্তারা। রাজ্যও পালটা জানায়, তারা সবরকমভাবে প্রস্তুত।
এরপরই মেট্রো কর্তারা জানান যে তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার খুঁটিনাটি জানাবেন জিএমকে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সূত্রের খবর, জিএমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও একপ্রস্ত বৈঠক হতে পারে। তারপরই স্থির হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরের কোন দিন থেকে ফের সচল হবে পাতালপথ।
এদিকে মেট্রো চললে, কী কী নিয়ম মানতে হবে, সে বিষয়ে একটি আদর্শ আচরণবিধি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকাটা বাধ্যতামূলকের কথা বলা হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/facebook-bans-bjp-mla-t-raja/
প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের স্মার্টফোন নেই তাঁরা কী করবেন? তাঁরা কী মেট্রোয় চড়ার সুযোগ পাবেন না? তার কোনও সুস্পষ্ট জবাব এখনও মেলেনি। স্টেশন চত্বর ও প্ল্যাটফর্মের সর্বত্র এক মিটার অন্তর দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করতে হবে।
এ ছাড়া, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে সীমিত সংখ্যক প্রবেশপথ খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। লিফট, এসক্যালেটর প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা মেট্রোর জন্য কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা
• প্রত্যেক যাত্রী এবং মেট্রো কর্মীকে ফেস মাস্ক পরতে হবে। যদি কেউ না পরে আসেন, তাহলে মেট্রো রেল কর্পোরেশন তা বিক্রি করতে পারবে। সেই বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
• উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই যাতায়াত করতে পারবেন।
• আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে। অর্থাৎ, এটি বাধ্যতামূলক নয়।
• স্মার্ট কার্ড এবং নগদহীন/অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রিতে বেশি জোর দিতে হবে। তবে টোকেন এবং পেপার স্লিপ/টিকিটের ব্যবহার বন্ধ করা হচ্ছে না।
• স্টেশনের প্রবেশ পথেই থাকবে স্যানিটাইজার। কন্টেইনমেন্ট জোনে স্টেশন বন্ধ।
• সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে মেট্রো স্টেশন এবং ট্রেনের ভিতরে মার্কিং করতে হবে।
• ভিড় সামলানোর জন্য দুটি মেট্রোর ব্যবধান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• ধাক্কাধাক্কি এড়াতে স্টপেজ টাইম বাড়বে। চাইলে কোনও স্টেশনে ট্রেন নাও থামতে পারে।
• ভিড় নিয়ন্ত্রণে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে।
• যে সব মেট্রোয় একাধিক লাইন আছে, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের সব লাইনকে কার্যকর করতে হবে।
• অল্প জিনিসপত্র নিয়েই মেট্রোয় উঠতে হবে। স্ক্যানিংয়ের সুবিধের জন্য ধাতব বস্তু না আনলে ভালো।