শনিবারের পর কী আর সম্পূর্ণ লকডাউন হবে না রাজ্যে ?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুরু থেকেই রাজ্য সরকার বলে আসছে করোনা সংক্রমণ রুখতে সংঘাত নয় বরং কেন্দ্র-রাজ্য বোঝাপড়ার মাধ্যমেই কাজ করতে চায় রাজ্য সরকার। মূলত সে কথা মাথায় রেখেই একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্ভবত আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পর আর রাজ্যে ‘কমপ্লিট লকডাউন’ হবে না। আগামী দিনেও লকডাউন হবে, কিন্তু তা শুধুই কন্টেইনমেন্ট জোনে অথবা নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক। ফলে মনে করা হচ্ছে সংঘাতের পথে না গিয়ে কেন্দ্রের দেখানো গাইডলাইন মেনেই আপাতত এগোতে চাইছে রাজ্য।
তবে পূর্ব ঘোষণা মতো ১১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ও ১২ই (শনিবার) সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে। ১৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার সর্বভারতীয় মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’। তার আগের দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন অভিভাবকদের একাংশ।
তবে সংক্রমণের গ্রাফে তালা ঝোলানো নিশ্চিত করতে তেমন কিছু ভাবনায় নেই রাজ্যের। তার মানে ধরে নেওয়া যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহের শেষে পর পর দু’দিনই লকডাউন হচ্ছে। তার পর কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার এই মোক্ষম অস্ত্র আর ব্যবহার নাও করতে পারে রাজ্য।
বরং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চালু হবে কড়া দাওয়াইয়ের ‘গাইডলাইন’। বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্কে মুখ ঢাকা। দূরত্ববিধি বজায় রাখতে শুরু হচ্ছে বাড়তি নজরদারিও।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinamool-has-instructed-mps-above-65-not-to-join-assembly/
কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নবান্নের এই ছকভাঙা সিদ্ধান্তে সুফলও মিলেছে, কমেছে সংক্রমণ, কমেছে কন্টেইন্টমেন্ট জোন। কলকাতা সহ জেলাগুলির পরিস্থিতিও ক্রমেই ভালো হচ্ছে। তাহলে কেন মাঝপথে ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’-এর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ভাবনা?
নবান্ন সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে তাতে, শুরুতে কেন্দ্র-রাজ্যের বোঝাপড়ার মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার কথা বলা হয়েছিল। কেন্দ্র কথা না রাখলেও, রাজ্য তার প্রতিশ্রুতি ভাঙতে চাইছে না।
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করতে চায় রাজ্য। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয় বলে জানা যাচ্ছে। বিগত সময় টানা লকডাউনে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ।
এমন অবস্থা শুধু যে পশ্চিমবঙ্গের তা নয়। কমবেশি একই অবস্থা অন্য রাজ্যগুলির। এই অবস্থায় অন্তত কাজের দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন করা হলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাই যেহেতু এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে তখন কেন্দ্রের দেখানো পথেই এগোতে চাইছে রাজ্য। সবচেয়ে বড় কথা ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে রাজ্যের মানুষের অবস্থা ভালো নয়।
সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। অথচ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার চায় না মানুষের বিরম্বনা আরও বাড়াতে। এদিকে মাস ফুরোলেই পুজো।
বহু মানুষের রুজিরুটি পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে। কোভিড সামলাতে গিয়ে উৎসব-অর্থনীতি জলাঞ্জলি হয়ে যাক, তা আর চাইছে না রাজ্য।
তাই নতুন করে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে না হেঁটে কনটেইনমেন্ট জোন ও এলাকাভিত্তিক লকডাউনেই জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।