পদোন্নতি সুরজেওয়ালার, সরিয়ে দেওয়া হল গুলাম নবী আজাদ সহ একাধিক বর্ষীয়ান নেতাকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদকে। যদিও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পদে এখনও রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার কংগ্রেসে একাধিক বদলি আনেন কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। সেখানে গুলাম নবী আজাদ সহ সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মোতিলাল ভোরা, অম্বিকা সোনি এবং মল্লিকাজুন খাড়গের মতো হেভিওয়েট নেতাদের।
বদল আনা হল ওয়ার্কিং কমিটিতেও। বাদ পড়লেন পি চিদম্বরম, তারিক আনোয়ার, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং জীতেন্দ্র সিংয়ের মতো নেতারা রয়ে গেলেন রেগুলার সদস্য হিসাবে।
তবে পদোন্নতি হল রাহুল ঘনিষ্ঠ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার। সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি কর্ণাটকের দায়িত্ব পেলেন তিনি। দলের প্রধান মুখপাত্র হিসাবে বেছে নেওয়া হল সুরজেওয়ালাকেই।
একইভাবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য কেসি ভেনুগোপাল দলের একাধিক কমিটিতে জায়গা করে নিলেন। অসমের দায়িত্ব পেলেন জীতেন্দ্র সিং।
সোনিয়া গান্ধীর ওপর ক্ষোভ দেখিয়ে দল ছেড়েছিলেন তারিখ আনোয়ার। তাঁকে কেরলের দায়িত্বভার দিলেন সোনিয়া৷ আগামী বছরেই কেরলের নির্বাচনে কংগ্রেস কতটা জায়গা করে নিতে পারে সেটাও দেখার।
গত মাসে সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো চিঠিতে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা পূর্ণ সভাপতির আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠান। তার মধ্যে মুকুল ওয়াসনিকের নাম ছিল।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বভার পেলেন তিনি। কংগ্রেস সভানেত্রীকে দল নিয়ন্ত্রণে সহায়তাকারী ৬ জনের বিশেষ কমিটিতে জায়গা হয়েছে মুকুলের।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/target-assembly-polls-former-union-minister-jeetin-prasad-appointed-observer-in-west-bengal/
অন্যান্য সদস্যরা হলেন, একে এন্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সোনি, কেসি ভেনুগোপাল এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে বাংলার দায়িত্বে আনা হল জীতিন প্রসাদকে। যদিও উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব পদে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷
তবে সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো চিঠিই কি অন্যান্য হেভিওয়েট নেতাদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ালো?
কারণ, গত মাসে সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো ২৩ জন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মধ্যে অনেকের নতুন করে দায়িত্বশীল পদ পাওয়া হল না।
বরং একাধিক পদে নিযুক্ত করা হল গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠদের৷ হাইকম্যান্ডের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসে নতুন করে ভাঙন দেখা দেবে না তো?