বদলেছে খোলনলচে, সেজেছে নতুন সাজে জঙ্গিপুর, কৃতিত্ব মোজাহারুলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৯৭৭ সাল। সবেমাত্র মনের মধ্যে বামপন্থার অঙ্কুর রোপন হয়েছিল। সাত বছর পর সেটা পুর্ণাঙ্গ চেহারা নেয়। তারপর নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে জঙ্গিপুরের মাটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা।
পরবর্তীতে তৃণমূলের একজন দক্ষ সৈনিক হিসাবে লড়াইটা আজও জারি রেখেছেন জঙ্গিপুর পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম।
প্রথম পুরসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন ১৯৯৭ সালে। তারপর পুরসভার কাউন্সিলর হিসাবে জনসেবা করে গিয়েছেন। এরপর একটানা ২০১০ থেকে ২০২০ সাল(পুরসভা ভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায়) পর্যন্ত চেয়ারম্যান ও প্রশাসক পদে রয়েছেন।
রাস্তাঘাট থেকে স্ট্রিট লাইট, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগীতা থেকে জঙ্গিপুরকে সাজিয়ে তোলা সবেতেই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
তাতেও আক্ষেপ কমেনি মোজাহারুল ইসলামের। তাঁর কথায় “জঙ্গিপুরের মানুষের জন্য আরও কাজ করতে পারলে ভালো হত।” এই সত্যি কথা বলার সাহস আজকের দিনে খুব কম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের রয়েছে।
সত্যিই তো ২০ থেকে ৩০ বছর আগে জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকা যা ছিল, তার খোলনলচে বদলেছে। কিন্তু প্রশাসক নিজেই যখন বলেন আরও কাজ করলে ভালো হত, এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় জনপ্রতিনিধি হিসাবে মোজাহারুল ইসলামের কাজ করার স্পৃহা, মানুষকে সবসময় ভাল রাখার অদম্য প্রয়াস কতটা।
একসময়ের সিপি(আই)এমের জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ শে জুলাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনৈতিক পরিচয় বদল করেছেন। কিন্তু মানুষের কাছে তিনি এখনও একই রয়েছেন। রয়েছেন একজন জননেতা হিসাবে। তবে রাজনৈতিক বদল কেন?
উত্তরে বললেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজ দেখে ওনাকে বেছে নিয়েছেন। তাই খানিকটা চ্যালেঞ্জ করেই বলে ফেললেন বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং সমস্ত সরকারী সুযোগ সুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের অধিক।
তবে সদ্য যাদের বয়স ৬০ বছর অতিক্রম করেছে, করোনাকালে তাঁদের ভাতা চালু করা যায়নি। এটা স্বীকারও করলেন। তাঁর কথায় এলাকায় বিড়ি শ্রমিক এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের আলাদা করে কোনও ভাতা নেই। তাই সরকারী প্রকল্প সাধারণ মানুষকে অনেকটা সাহায্য করেছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-states-amusement-parks-will-open-on-september-23/
প্রায় ১১ হাজার মহিলাদের নিয়ে তৈরি ছোট স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি নিজেই দেখভাল করেন। কারোর কোনও অসুবিধা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্যার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন।
অন্যান্য জেলার তুলনায় মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেশী। করোনা এবং লকডাউনের কারণে প্রচুর মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। এই কঠিন আর্থিক পরিস্থিতিতে নিজে সাধ্যমতো এগিয়ে গিয়েছেন। টানা তিন মাস কয়েক হাজার কুইন্টাল খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন সেইসব অসহায় মানুষগুলির পাশে।
যদি কেউ বাদ থেকে যায়, তা জানতেই চালু করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের। একটিমাত্র মেসেজ করলেই তার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। কোনও কোনও জায়গায় সরকারি অর্থের অপেক্ষা না করেই নিজের পুঁজি ভেঙে গরীব মানুষের সাহায্যের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছেন হাত। অসুবিধায় পড়লে এগিয়ে গিয়েছেন সবার আগে।
করোনাকালে যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পুরসভার দরজা সব সময় খুলে রেখেছেন মোজাহারুল ইসলাম। রবিবারেও পুরসভার কাজে বিরতি নেই।
পুরসভার পাশাপাশি চালু রেখেছেন থানা ও পুরসভার এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ। সাংসদ খলিলুর রহমানের তহবিল থেকে স্যানিটাইজিং গেট বসানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সহ জাতীয় রাজনীতিতে জঙ্গিপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র। এলাকার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মোজাহারুল ইসলামের গুরুত্ব অপরিসীম, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে মানুষের উন্নয়নে নিয়েই সবসময় থাকতে চান। তাই তো বলেন সরকারী প্রকল্প থেকে আরও টাকা পেলে আরও মানুষের জন্য আরও লড়াই করব। কারণ মোজাহারুল ইসলামের মতে মানুষের সেবা ছাড়া রাজনীতিতে জয় অসম্ভব।