করোনা আক্রান্ত ছত্রধর মাহাত, পিছল হাজিরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১১ বছর পুরানো মামলারই নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে কলকাতার নগরদায়রা এনআইএ আদালতে। সেই মামলাতেই ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এবার ছত্রধর মাহাতো সহ আরও ৫জনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে এনআইএ।
সোমবার ছিল ছত্রধর মাহাতোর আদালতে হাজিরার দিন। কিন্তু এদিন তাঁর আইনজীবি আদালতে জানান যে তাঁর মক্কেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই মর্মে তিনি ছত্রধর মাহাতোর আরটি পিসিআর রিপোর্টও জমা দেন।
স্বাভাবিক ভাবেই এখনই আর ছত্রধর মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হল না এনআইএ। তবে সপ্তাহ দুই পরে আবারও তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
১১ বছর আগে তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ও অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় গ্রামে খুন হয়েছিলেন দুইজন সিপিআই(এম) কর্মী। তখনও রাজ্যের মসনদে বামেরা। ছত্রধর মাহাতো সেই সময় ছিলেন জনসাধারনের কমিটির নেতা।
এনআইএ এখন হঠাৎ করেই এই পুরানো মামলা তুলে এনে তাতে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে ছত্রধর মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে। সেই জন্যই এদিন আদালতে ছত্রধর মাহাতোকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার ছত্রধর মাহাতোকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেদিন আদালতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এজলাসে আর হাজিরা দিতে পারেননি। এখন জানা যাচ্ছে যে তিনি করোনায় আক্রান্ত।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/river-cruise-on-ganges-start-from-october/
এদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ছত্রধর মাহাতোকে জেলবন্দি করার জন্য এনআইএকে দিয়ে এইসব করাচ্ছে বিজেপি। কারন জঙ্গলমহলের বুকে এখনও ছত্রধর মাহাতোর দাপট ও শ্রদ্ধা রয়েছে।
সেই ছত্রধর মুক্তি পেয়ে শুধু তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক হয়েছেন তাই নয়, আগামী রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় প্রচার চালানোর কথা জানিয়েছেন।
এর জেরে ওই চার জেলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় আঘাত নেমে আসতে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনে ওই চার জেলাতে থাকা ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনেই জয়লাভ করেছিল বিজেপি।
এখন এখন ছত্রধর মাহাতো বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামলে সেই সফলতা হাতছাড়া হবে গেরুয়া শিবিরের। সেই কারনেই পুরানো ধামাচাপা মামলাগুলিকে নতুন করে তুলে এনে তাতে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে ছত্রধরকে ফের জেলাবন্দি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।