হাথরাসে অপরাধীদের ক্লিনচিট দিতে বিজেপি নেতার বাড়িতে পঞ্চায়েত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রামরাজ্য নির্যাতিতা সীতারা’এই স্লোগানে যখন দেশ উত্তাল। ঠিক তখন উত্তরপ্রদেশ আছে উত্তরপ্রদেশেই। এখানে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বারবার অপরাধীদের পক্ষে সওয়াল করছেন উচ্চবর্ণের মানুষেরা। ফলে হাতরসের গরিব পরিবার যে বিচার পাবেন সে কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
দেশ চাইছে নির্যাতিতা বিচার পান। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতারা চাইছেন অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াতে। তাদের ক্লিনচিট দিতে। এই কথাটা যে কতটা সত্যি তার প্রমাণ মিলেছে রবিবার।
এদিন হাতরসকাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়ির পাশেই অভিযুক্তদের পক্ষে ন্যায় চেয়ে পঞ্চায়েত করল উচ্চবর্ণের লোকেরা।হাতরসকাণ্ডে যে গ্রামে কুড়ি বছরের দলিত কন্যার গ্যাংরেপ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রবিবার অভিযুক্তদের পক্ষেই বিচার চেয়ে সওয়াল করেন উচ্চবিত্তের লোকেরা।
সূত্রের খবর, এদিন এই সভায় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজেপি নেতা রাজবীর সিং পালোয়ানের বাড়িতেই। এ দিনের সভা থেকে দাবি উঠেছে এই ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
উল্লেখ্য হাথ্রাস কন্ডে দলিত কন্যার উপর অত্যাচার ও হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ রাগে ফুঁসছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠছে। এই অবস্থায় খোদ বিজেপি নেতার বাড়িতেই অভিযুক্তদের পক্ষে ন্যায় চেয়ে পঞ্চায়েতের পর সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে, এই মামলায় নির্যাতিতা আদৌ কতটা বিচার পাবেন!
যদিও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি নেতার তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানাতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আলাদা করে কাউকে এখানে ডাকা হয়নি। যারা এসেছিলেন তারা সকলেই তুমি নিজের ইচ্ছায় সমবেত হয়েছিলেন।
এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া লব কুশের মা-ও এদিন বিজেপি নেতার বাড়ি এসেছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে গ্রামে এধরনের জামায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই এ দিন এই পঞ্চায়েত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/if-you-dont-stop-overloading-the-dilapidated-picture-of-the-road-will-come-back-again-and-again-like-experts/
এই পঞ্চায়েত সম্পর্কে বলতে গিয়ে এর অন্যতম উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠক সম্পর্কে আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে পিরি তার পরিবারের বিরুদ্ধেও একটি প্রাথমিক এফআইআর দায়ের করতে চাই আমরা। আমাদের মূল অভিযোগ, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এই নির্যাতিতা দলিত যুবতীর চিকিৎসা চলাকালীন গত ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয়। এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গোটা দেশ এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে কাটগড়া চলছে। যেভাবে রাত্রিবেলায় পরিবার কে না জানিয়ে এই দলিত কন্যা দেহ পুলিশ জ্বালিয়ে দেয় তার সমালোচনা হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে।
অভিযুক্তদের পক্ষে এ ধরনের সভা ওই গ্রামে এই প্রথম নয়। শুক্রবারও এই একটি সভা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে উচ্চবর্ণের লোকেরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
তারা এও বলেছিলেন, মামলাটি সম্পূর্ণভাবে সাজানো। সিবিআইয়ের উচিত নিরীহ মানুষ গুলোকে তদন্ত করে মুক্তি দেওয়া।