এনডিএ শিবিরে থেকে জেডিইউয়ের সঙ্গে লড়াই, এ কোন রণনীতি?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রয়েছেন এনডিএ শিবিরে। কিন্তু লড়াই নীতিশ কুমারের জেডিইউয়ের সঙ্গে৷ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোক জনশক্তি পার্টির এই সিদ্ধান্ত কীসের ইঙ্গিত? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আসন্ন তিন দফার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৩ টি আসনে প্রার্থী দিতে চান লজপা প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। এতে বিপাকে পড়বে জেডিইউ। বিহারে দলিত ভোটের মুখ নীতিশ কুমার হলেও বেশ কিছু জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে প্রচার করতে চাইছে লজপা।

এনডিএ শিবিরের দুই মেরুতে অবস্থানকারী দুটি দলের লড়াইয়ে লাভ বিজেপির হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও তাতে সময় লাগবে অনেক। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে চিরাগ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৫ এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪২ টি আসনে লড়াই করেছিল রামবিলাস পাসোয়ানের দল। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ৪ টি আসনে জয়লাভ করে লজপা।

লজপা সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখকে কাজে লাগিয়ে লজপা বিহারে ১০ থেকে ১৫ টি আসন পেলেও তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে জোটের ক্ষেত্রে। এমনকি ভবিষ্যতে বিহারে এলজেপি এবং বিজেপির জোট উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারে।

তবে জেডিইউ এবং বিজেপি মিলিয়ে ১২২ টি আসন জিততে না পারলে জোটের আকাশে কালো মেঘ দেখা দেবে।
যদিও জেডিইউয়ের দাবী ২০১০ এর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারেও ২৪৩ টি আসনের মধ্যে ২০৬ টি আসনে জয়লাভ করতে পারে বিজেপি এবং জেডিইউ।

সেখানে এলজেপি কতগুলি আসন পাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বন্যা মোকাবিলা, করোনা মোকাবিলা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ।

কার্যত একই সুরে সুর মিলিয়ে সরব হয়েছিলেন লজপার সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান। এবার জোট নিয়ে এনডিএ শিবিরের অন্তঃদ্বন্দ্বকেও হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে তেজস্বী যাদব।

এবিষয়ে জেডিইউয়ের দাবী এলজেপি পিছন থেকে যে ছুরি মেরেছে তার ফল নির্বাচনে অবশ্যই ভোগ করতে হবে। তবে চিরাগ পাসোয়ানের এই রণনীতির কথা মাথ্য রেখেই নতুন করে ঘুটি সাজচ্ছে গেরুয়া শিবির। কোন কেন্দ্রে কোন জাতির প্রাধান্য বেশী? সেই অনুপাতে প্রার্থী ঘোষণা করতে চাইছে বিজেপি।

রবিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক হয়েছে। বিহার বিধানসভা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে।

এছড়াও উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ভুপেন্দ্র যাদব এবং শেহনাওয়াজ হুসেন সহ একাধিক নেতারা।

তার আগে সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিহার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি।

সম্পর্কিত পোস্ট