রাজনৈতিক দল নয়, বিজেপি সন্ত্রাসবাদীদের দল : ফিরহাদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  সকাল থেকে নবান্ন অভিযানের নামে রাজপথের ধুন্ধুমারের ছবি দেখেছে বাংলার মানুষ। এদিন বিজেপির তরফে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াসের অভিযোগ তুলে কড়া নিন্দা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বন্দুক কেন? কেন বোমাবাজি করা হল মিছিল থেকে? তাহলে কী এটাই ধরে নিতে হবে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল?

এদিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মিছিলের ছবি দেখে গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন বিজেপি সন্ত্রাসবাদীদের দল। বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করেছে বিজেপি।

এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি সন্ত্রাসবাদীদের দল। গুণ্ডামি করে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশকর্মীরা বিজেপির সেই চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছেন। এদিন গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল থেকে বোমা, বন্দুক উদ্ধার হয় না।

বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে এদিন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গও টেনে আনেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করেছে। এখন বাংলাতেও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”

শুধু ফিরহাদ নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযানের কড়া নিন্দা করেছেন তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি অবিযোগ করেছেন, বিজেপি এমন একটা রাজনৈতিক দল যাঁর মিছিল থেকে বোমাবাজি হয়। আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। তার থেকেই বোঝা যায় কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা মিছিল করছিলেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, বাংলায় এসব করে বিজেপি কিছু করতে পারবে না।

যদিও বিজেপির তরফে এই অন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ বলা হয়েছে। বরং তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়েছে। বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে রাজ্য পুলিশের এই তৎপরতার কড়া সমালোচনায় বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে কালো দিন। গণতন্ত্রকে খুন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দেশের কোথাও বাংলার মতো দুর্নীতিবাজ সরকার আর নেই।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-late-eminent-educationist-anandadev-mukherjee/

তিনি আরও বলেন, দেশের কোথাও বাংলার মতো দুর্নীতিবাজ সরকার আর নেই। সিন্ডিকেট ও কাটমানির সরকার চলছে। সরকারের বিরুদ্ধে বললেই হামলা হচ্ছে। একের পর এক বিজেপি কর্মী বাংলায় খুন হচ্ছেন।

এদিন, বাংলায় বোমা-গুলি সহ চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরও এদিন বাংলার সরকারকেই একহাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা।

এদিন ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জনগন যে এই সরকারের বিরুদ্ধে কতটা ক্ষিপ্ত এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই সরকার তার হতাশার বহিপ্রকাশ করতে গিয়ে নিরীহ শান্তিপূর্ণ অন্দোলনের ওপর লাঠিচার্জ করছে।

যদিও এদিন গুলি-বোমা সহ শহরের বুকে তাণ্ডবের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, এদিনের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। কোথাও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফে বিশৃঙ্খল আচরণ করা হয়নি। এদিন মিছিল থেকে উদ্ধার হওয়া বন্দুক সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, বন্দুকটি অবৈধ নয়। এই বন্দুকের লাইসেন্স ছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট