ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ফের এক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভীমা কোরেগাও মামলায় ফের এক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ৮৫ বছর বয়সী ফাদার স্তান স্বামীকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী বিভাগ।

দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে আসছেন ফাদার স্তান স্বামী। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাঁচি থেকে গ্রেফতারের আগে ২০ মিনিট বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এনআইএর তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদী দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন স্তান স্বামী।

এনআইএর তরফে তোলা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মাওবাদী দলের সক্রিয়তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু অর্থ পেয়েছিলেন তিনি। এনআইএর তরফে বলা হয়েছে, বেশ কিছু নথিপত্র মিলেছে যা থেকে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অন্যান্যদের সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

ঘটনার পর টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বুদ্ধিজীবীরা। ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন ফাদার। মোদি জমানায় সকলের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ একইসঙ্গে ঘটনার তীব্র আলোচনা করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

এর আগে স্তান স্বামী জানিয়েছিলেন, এনআইএর চাপে মুম্বইয়ের অফিসে হাজিরা দেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রায় ১৫ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীকালে এনআইএর তরফে ফের তলব করা হলে শারিরীক পরিস্থিতি এবং করোনা ভাইরাসের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ভীমা কোরেগাঁওতে ছিলেন না বলে দাবী করেন সমাজসেবী।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে একটি জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী বিভাগের তরফে বলা হয়, ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এলগার পরিষদের সদস্যের ভাষণের কারণেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুধা ভরদ্বাজ, আনন্দ তেলটুমড়ে, ভারাভারা রাও সহ ৯ জন সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পরবর্তীকালে তদন্তের দায়িত্বভার বর্তায় এনআইএর ওপর।

নক্সালপন্থী একাধিক সংগঠনের সঙ্গে ওই পরিষদের বেশ কিছু সদস্যের যোগ সুত্র মিলেছে বলে জানানো হয়। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুনের ষড়যন্ত্র তৈরি করছিলেন সমাজকর্মীরা। যদিও এখনও অবধি এবিষয়ে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি পুলিশ।

গতমাসে শারিরীক অসুস্থতার কারণে অন্তবর্তীকালীন জামিন পান সুধা ভরদ্বাজ৷

সম্পর্কিত পোস্ট