সোমবার থেকেই রাজ্য ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুজোর মরসুমে এমনিতেই দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। তবে সাধারণের চিন্তা বাড়িয়ে সোমবার থেকে ফের রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে ট্রাক ধর্মঘট। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট।

১২ থেকে ১৪ অক্টোবর রাজ্যব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টা রাজ্যে চলবে না কোনও ট্রাক। ভিন রাজ্য থেকেও আসবে না কোনও ট্রাক। ফলের এই তিনদিন ভিন রাজ্য থেকে রাজ্য আসবে না মাছ, ডিম, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনও গাড়িই- যার প্রবাব আদতে গিয়ে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপরে।

রবিবার ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোসের কথায়, রাজ্যে অতিরিক্ত এক্সেল লোড চালু করতে হবে এবং ওভারলোডিং বন্ধ করতে হবে। অন্য রাজ্যে এক্সেল লোড চালু করা হয়েছে। এই রাজ্যে কেন্দ্রের মোটর ভেহিক্যালসের নিয়ম মেনে তা চালু করা হয়নি। এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমরা সরব ছিলাম। তবে এ বার একেবারে পুজোর মরসুমে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের পথে হাঁটতে হচ্ছে।

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ অন্যরাজ্যে ট্রাকে এ রাজ্যে যতটা পণ্য পরিবহণ করা যায়, আমরা তা পারি না। ফলে একই ধরণের ট্রাকে দুধরণের নিয়ম চলছে রাজ্যে যার মূল্য চোকাতে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের। অন্য রাজ্য গাড়িতে এক্সেল লোড বাড়ালেও এই সরকার বাড়াচ্ছে না। এরসঙ্গে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশী হায়রানির বিষয়গুলি তো রয়েছেই।

রাজ্যের অভিযোগ, ওভারলোডিং কারণে খারাপ হচ্ছে রাস্তা। সুভাষ চন্দ্র বোস বলছেন, এর জন্যে দায়ী প্রশাসন। ট্রাকে ওভারলোডিং বন্ধ করতেই হবে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ট্রাক মালিক ও চালকদের ওপরে প্রশাসনিক হয়রানি এবং জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-state-home-department-cleared-the-turban-debate-the-bjp-went-to-the-raj-bhavan/

বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে কখনও পুলিশ, কখনও বা মোটর ভেহিক্যালস দফতরের কর্মীদের জুলুমবাজি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, করোনাকালে রোড ট্যাক্স, পারমিট এবং ফিটনেসের ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে।

আজ, কলকাতায় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস। তাঁরা ধর্মঘট নিয়ে অনড় বলে জানিয়েছেন।রাজ্যজুড়ে সোমবার থেকে শুরু হতে চলা টানা ৭২ ঘণ্টা ট্রাক ধর্মঘটের দিনে ভিন রাজ্যের ট্রাকও আটকে দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে। ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অসম, নাগাল্যান্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার এবং বেঙ্গালুরু থেকে সবজি, মাছ, ডিম, পোশাক ওষুধ সামগ্রী বোঝাই লরি ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট