হাথরাস ঘটনাঃ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাথরাস ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে গভীর রাতে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, ধনী মেয়ে হলে পারতেন এভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিতে?

সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে চলে মামলা। সেখানে পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, আপনারা কিভাবে বলছেন ধর্ষণ হয়নি? তদন্ত কি শেষ হয়ে গেছে?

রবিবার হাথরাস ঘটনার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের হাতে। সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন এবং হত্যার মতো অভিযোগ আনা হয়।

সিবিআইয়ের তরফে ওয়েবসাইটে এফআইআরের কপি এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তদের নাম সাদা কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। পরে ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইন বিধিভঙ্গ হতে পারে, সেই কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সিবিআই।

উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ২০ বছর বয়সী এক দলিত তরুনীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ১৪ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে অবশেষে দিল্লির সফদরজঙ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নির্যাতিতা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/trinamool-lawyers-call-for-punishment-of-hathras-gang-rape-and-protection-of-women/

গভীর রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ। যোগীর রাজ্যে পুলিশের অমানবিক মনোভাবের কারণে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তদন্তে গাফিলতির কারণে এসপি সহ পাঁচ পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ আনা হয়। ১২ দিন পর নির্যাতিতার শরীরের নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর পর দেহে বীর্য না মেলায় পুলিশ প্রমাণ করার চেষ্টা করে ধর্ষণ হয়নি।

মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর। পাশাপাশি হাথরাসে যেতে চাওয়া সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের মুক্তির বিষয়ে কেরলের সাংবাদিক সংগঠনের আগামী মাসে শোনা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ততদিন জেল হেফাজতে থাকতে হতে পারে সাংবাদিককে৷

সম্পর্কিত পোস্ট