ঠিকাদার সংস্থা দিয়ে দল চালানো যায় না, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা মিহির গোস্বামীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঠিকাদার সংস্থা দিয়ে রাজনৈতিক দল চালানো যায় না। দলের সংগঠন চলে নেতা এবং কর্মীদের মিলিত সিদ্ধান্তে ৷ পিকের আইপ্যাক সংস্থাকে এভাবেই বিঁধলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টি আসনের মধ্যে বাংলা থেকে ২২ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। অন্যদিকে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন পেয়ে বাংলা সহ জাতীয় রাজনীতিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি।
দলের হার মুল্যায়নের জন্য এবং বাংলায় তৃণমূলের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে কাজে লাগান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় আইপ্যাকের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন দলীয় নেতৃত্ব।
শুক্রবার নিজের কার্যালয়ে বসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক৷
যদিও তাঁর এই মন্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই, চরম অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দ্য় কোয়ারি। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গত কয়েক মাস ধরেই কোচবিহার তৃণমুলের অন্দরে কান পাতলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা শোনা যাচ্ছিল। চলতি মাসে জেলা এবং ব্লক কমিটি গঠনের পর সেই বিক্ষোভ আরও বাড়তে শুরু করে ৷
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rjd-wants-to-use-the-formula-of-ninety-in-betting-votes/
কোচবিহার ১ নং ব্লকের জন্য যাদের নাম মিহিরবাবু পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের একজনকেও তালিকায় রাখা হয়নি। চলতি মাসেই সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল বিধায়ক।
সেদিন প্রেস বিবৃতিতে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বলেন, জেলা এবং ব্লক কমিটি গঠনের সময় বিধায়কদের প্রস্তাবের কথা মুখে বলা হলেও আদতে তা করা হয়নি। যারা দলবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁদেরকেই বিভিন্ন পদ দেওয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক।
৩ রা অক্টোবর সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মিহির গোস্বামীর শিবিরের হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, নিজের পার্টি অফিসে যে সমস্ত ফেস্টুন নতুন করে লাগানো হয়েছে সেখানে ঘাসফুলের কোনও চিহ্ন নেই।
কোচবিহারের গোষ্ঠী কোন্দলের আগুন নেভাতে সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অভিষেককে কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মিহির গোস্বামী।