শেষ রবিবারেও জমল না পুজোর বাজার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গোৎসবের আগে শেষ রবিবারও ক্রেতার অভাবে শহরের বাজারগুলোতে। করোনা আবহে শেষ বেলাতেও বিক্রেতাদের মুখের হাসি চওড়া হল না। বেচা-কেনার অভাবে ব্যবসায়ীদের থাকতে হল ম্লান মুখেই।
তা সে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার নিউমার্কেট হোক বা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট বাজার কিংবা হাতিবাগান বা শ্যামবাজার সর্বত্রই একই ছবি।
তবে লকডাউনের কারণে বাজারগুলো যেভাবে ঝিমিয়ে পড়েছিল– যেভাবে কেনাকাটা তলানিতে এসে ঠেকেছিল– পুজো উপলক্ষ্যে তার থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মুখরক্ষা হয়েছে কিছুটা।
গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে মানুষ শহরের বাজারহাটে ভিড় জমিয়েছে এবং টুকটাক কিছু কেনাকাটা করেছেন। এই রবিবার একে ছুটির দিন। তার ওপর পুজোর আগে শেষ রবিবার তাই বেশিরভাগ মানুষই কমবেশি কিছু কেনাকাটি করতে বাজারে ভিড় করে।
কিন্তু ভিড় বেশি হলেও কেনাকাটার বাজার কিন্তু সেভাবে চাঙ্গা হল না। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এটুকু বোঝা গেল– এবার নমো নমো করে দুর্গোৎসব কাটানোর চেষ্টা সকলেরই। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেনাকাটাতেও ভাটা পড়েছে।
কিন্তু মানুষের এমন মনোভাবে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতারা। আর সেই কারণেই পুজোর শেষ রবিবারও বাজার জমজমাট হয়নি। একইসঙ্গে তুলনামূলক কম ভিড় হয়েছে অন্যান্যবারের তুলনায়।
দলে দলে ক্রেতারা ভিড় জমায় হাতিবাগান– ধর্মতলা– গড়িয়াহাটে। ভিড়ের তুল্যমূল্য বিচারে এ দিন ফুটপাথের দোকানগুলো রীতিমতো টেক্কা দিয়ে গিয়েছে বড় দোকানগুলোকে।
মহিলাদের ফ্যান্সি পোশাকের সম্ভারই হোক বা কুর্তা-পাজামা থেকে শুরু করে ছেলেদের পোশাক– ফুটের সব দোকানই এ দিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। ক্রেতা উপচে পড়েছিল— ব্যাগ– ইমিটেশনের গয়না থেকে শুরু করে সাজগোজের দোকানেও। এতে খুশি সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/dhankar-wrote-a-letter-to-the-chief-minister-regarding-the-death-of-a-bjp-worker/
হাতিবাগান বাজারে পোশাকের দোকান মানস প্রসাদের। সদ্য বিকেল হয়েছে। দোকানে তখন তাঁকে ঘিরে পাঁচজন ক্রেতা– সকলেই মহিলা। তারই ফাঁকে প্রণয় বললেন– ‘কেনাকাটা হচ্ছে। মেয়েদের পোশাকের চাহিদাও বেশি। কিন্তু যতটা আশা ছিল– ততটা নয়।’
পাশেই মেয়েদের ব্যাগের দোকান সত্যেন হাজরার। বিক্রি কেমন? জিজ্ঞাসা করতেই ঘাড় নেড়ে বললেন– ‘ভালো’। ফুটের এই সব দোকানের পাশেই বহু বড় বড় দোকান। কিন্তু সেখানে যেন ক্রেতাদের প্রবেশে অরুচি। হাতেগোনা দু-একটি ছাড়া বড় দোকানগুলো বলতে গেলে তাই ফাঁকাই রইল।
কেষ্টপুর থেকে এসেছিলেন প্রফুল্ল বৈরাগী। সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলে। একজন ক্লাস সিক্স। অন্যজন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। বেসরকারি সংস্থার কর্মী প্রফুল্লবাবু জানালেন– নানা কারণে এতদিন পুজোর বাজার করে উঠতে পারেননি। পুজোর আগে ছুটির দিন। তাই ফ্যামিলি নিয়ে কেনাকাটা করতে সোজা চলে এসেছেন ধর্মতলায়।
এ দিন গড়িয়াহাট এবং ধর্মতলার পুজোর বাজারের ভিড়ের সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে গিয়েছে হাতিবাগান বাজারের ভিড়। ক্রেতাদের বক্তব্য– এখানে জিনিসপত্রের দাম কলকাতার বাকি বাজারগুলোর তুলনায় সস্তা। সেই কারণেই তাঁরা প্রতিবার পুজোয় হাতিবাগান থেকেই কেনাকাটা করেন।
এটা যেন একটা পরম্পরা। বড় দোকানগুলোয় ভিড় কম থাকলেও– শপিংমলগুলোয় এ দিন অবশ্য অন্যদিনের মতোই কেনাকাটা হয়েছে।