ফের মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে মৌসম বেনজির নূর
দ্যা কোয়ারি ডেস্ক: দলের নেতৃত্ব মুখে এক কথা বলে,আর পেছনে পেছনে ষড়যন্ত্র করে। এই সব নেতাদের নাটক অ্যনালাইসিস করে নার্কো টেস্ট করা হবে। বুথ ভিত্তিক সন্মেলনে প্রকাশ্যে এমনই বক্তব্য রাখলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ।
আর এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভায় তৃণমূল নেতৃত্ব একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রকাশ্যে।
২০১৬ সালে রাজ্যের তৃণমূল ক্ষমতায় আসলেও মালদা জেলায় একটি আসনও তারা পায়নি। লোকসভা ভোটে দুটি আসনের মধ্যে একটি কংগ্রেস ও একটি বিজেপি দখল করে। তৃণমূলকে কার্যত শূন্য হাতেই ফিরতে হয়।
গত বিধানসভা ভোটে পরাজিত হন রাজ্যের দুই দাপুটে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। পুরাতন মালদা আসন থেকে পরাজিত হন তৃণমূলের দুলাল সরকার।
আর এই পরাজয়ের জন্য দলের নেতৃত্বে একাংশকে দায়ী করে সরব হলেন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতালি সরকার। তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভায় প্রকাশ্যেই তিনি ক্ষোভ উগরে দিলেন। নেতৃত্বের একাংশকে ষড়যন্ত্র করা ও অন্তরঘাত করার জন্য দায়ী করলেন।
তার সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা অন্তর্ঘাত করার অভিযোগ আনলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক কার্তিক ঘোষ।
তিনি বলেন এইসব নেতা-নেত্রীরা মঞ্চে এক কথা বলে যান এবং পেছন পেছন ষড়যন্ত্র করেন আগামী দিনে এদের নারকো অ্যানালাইসিস টেস্ট করা হবে।
প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলা জুড়ে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/center-for-intervention-to-resolve-the-conflict-between-assam-and-mizoram/
গোটাঘটনা নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। তিনি বলেন দল নজর রাখছে প্রত্যেকের ওপরে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কার্তিক ঘোষ এই মন্তব্য আবেগ আপ্লুত হয়ে বলে ফেলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন যারা তৃণমূলের মঞ্চে একসঙ্গে বসে ছিল, তারা কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। মঞ্চ থেকে নেমে একে আরেকজনকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র করবেন। এর আগেও তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে তা প্রকাশ্যে দেখেছে মালদা বাসী। একজন নেতাকে হারানোর জন্য ১০-১২ জন নেতা মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন । যেখানে বারবার মুখ্যমন্ত্রী সকলকে একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার কথা বললেও তাতে যে কেউই কর্ণপাত করছেন না তা একপ্রকার স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলে এই ভাঙন যদি অবিলম্বে না রোখা যায় আগামী নির্বাচনে মালদা জেলা থেকে চির বিদায় ঘটবে ঘাসফুলের।