গাজিয়াবাদ বর্ডারে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আন্দোলনস্থল ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত দুই মাস ধরে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য পানীয় জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আন্দোলনস্থল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ওই এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
কিন্তু আন্দোলনস্থল ছাড়তে নারাজ কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়িত জানিয়েছেন, গ্রেফতার হতে রাজি রয়েছেন তিনি। কিন্তু আন্দোলনস্থল ছেড়ে যাবেন না। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে কৃষকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। কোনও অশান্তি গাজিপুর বর্ডারে ঘটেনি। তবুও জোর করে আন্দোলনস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। তখন থেকেই ওই জায়গায় কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে গোটা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরেও দিল্লির ভিতরে ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রবেশ করেন কিছু সংখ্যক কৃষক। এমনকি লালকেল্লা দখল নেন তাঁরা। ঘটনার বিরোধিতা করেন বেশ কয়েকজন কৃষক নেতা।
আরও পড়ুনঃ ৫ তারিখ রাজ্যে শুরু বাজেট অধিবেশন
শুরু থেকেই কৃষি আইনের বিরোধিতায় যারা সরব হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার। বুধবার রাতেই জেলার সমস্ত আন্দোলনস্থল থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের সরিয়ে দেয় বাঘপত প্রশাসন।
বাঘপত জেলা প্রশাসক অমিত কুমার সিং জানিয়েছিলেন, আন্দোলনকারী কৃষকদের সকলেই বয়স্ক বলেই কারোর ওপর জোর করা হয়নি। সকলকেই তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হাইওয়ের তরফে বলা হয়েছে কিছু কাজ বাকি রয়েছে তাই আন্দোলনকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে। এছাড়াও কারনাল বর্ডারে যারা আন্দোলন করছিলেন তাঁদেরকেও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হচ্ছে।
যদিও কৃষকদের তরফে বলা হচ্ছে, আন্দোলনকে কলুষিত করতেই সরকারের তরফে ২৬ জানুয়ারি প্যারেডে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন কৃষকরা।