উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল৷ রবিবার সন্ধ্যাতেই রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন জীতিন প্রসাদ সহ একাধিক নেতৃত্ব।
কিছুমাস আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। এছাড়াও এদিন মন্ত্রীসভায় শপথ নেন ছত্রপাল সিং, পল্টু রাম, সঙ্গিতা বলবন্ত, দীনেশ কাটিক এবং ধরমবীর সিং।
গত চার বছরের অধিক সময় ধরে উত্তরপ্রদেশের একাধিক ঘটনা যোগী সরকারকে সমালোচনার কাঠগড়ায় উপস্থিত করিয়েছে। তাই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশের একাধিক ঘটনার জেরে মুখ ফিরিয়েছিলেন ব্রাহ্মণরা। তাই তাঁদের ভোট ফেরাতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতিন প্রসাদকে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হল। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে ব্যালেন্স রেখে অনগ্রসর জাতি থেকেও মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন পল্টু রাম, সঞ্জীব কুমার এবং দীনেশ খাটিক৷
বনধ না পালন করলেও, কৃষকদের ইস্যুকে সমর্থন মমতার
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্যতম শরিক নিশাদ দলের তরফে সঞ্জয় নিশাদকে মন্ত্রীসভায় জায়গা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রীসভায় জায়গা পেলেন না তিনি। কিছু মাস আগে ছেলে প্রবীন নিশাদের মোদি মন্ত্রীসভায় জায়গা না হওয়ার কারণে অখুশি ছিলেন সঞ্জয় নিশাদ।
এবার সেই সম্পর্কে খানিকটা চিড় ধরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের নেতারা। নতুন মন্ত্রীসভায় জায়গা পাননি বেবি রানী মৌর্য।
নির্বাচনের আগে মন্ত্রীসভায় রদবদল ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব ফেলবে? উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন থেকে জাতীয় রাজনীতিতে দিকনির্দেশ করা সম্ভব৷ কারণ, এই রাজ্য থেকেই নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তালিকায় রয়েছেন রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানির মতো প্রথম সারীর নেতৃত্ব৷
কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে যোগী সরকারের একাধিক কর্মকাণ্ড বারবার সমালোচনার কাঠগড়ায় শামিল করেছে। সেইসঙ্গে চলতি বছরেই একাধিক রাজ্যে বিজেপির পরাজয় দিল্লির নেতৃত্বের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। সেই হারের ক্ষত মেরামত করে বিজেপির কামব্যাক সম্ভব কিনা তা সময়ের অপেক্ষা।