কংগ্রেসী জয়প্রকাশ নয়, বরাবরের বিজেপি রিতেশের প্রতি সহানুভূতিশীল দলেরই একাংশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক বিদ্রোহে টালমাটাল বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে দলের বিদ্রোহীরা ক্রমশই জোর বাড়াচ্ছে। তবে বেশি শোরগোল ফেলেছে মঙ্গলবারের সাংবাদিক সম্মেলন।
কংগ্রেসী জয়প্রকাশ
সেখানে একসময়ের কংগ্রেসী জয়প্রকাশ মজুমদারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রথম থেকেই বিজেপি করে আসা রিতেশ তিওয়ারি। দু’জনেই প্রেসক্লাবে রীতিমতো আসর বসিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে তুলনা করেছেন। শুধু তাই নয় বেশ কিছু ক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও নিশানা করেছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে কান পাতলে বোঝা যাবে, জয়প্রকাশের বিদ্রোহে তাঁরা যতটা না বিচলিত, রিতেশ তিওয়ারির মনোভাব একাংশকে রীতিমতো হতচকিত করে দিয়েছে। দিয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রিতেশ।
তিনি ছাত্রজীবনে এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিজয়ী রাজ্য কমিটিতে জয়প্রকাশের মতোই সহ-সভাপতি ছিলেন। গোড়া থেকেই সংঘ পরিবারের আদর্শে বড় হয়েছেন এই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে ২০১৪ সালে দলে আসা জয়প্রকাশকে মেলাতে রাজি নন অনেকে।
RRB-NTPC Result : রেলের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ , অগ্নিগর্ভ বিহার
বরং রাজ্য স্তরের বেশকিছু নেতা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঘরোয়া আলোচনায় রিতেশকে নিয়ে আক্ষেপ করছেন। তাঁদের দাবি রিতেশের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার ঘটনাই বুঝিয়ে দিচ্ছে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ঠিক কতটা অপদার্থ! না হলে আদর্শগতভাবে বিজেপি করা এই নেতা এইভাবে বিদ্রোহ করতেন না।
বিজেপির একাংশের আশঙ্কা পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ না করলে রিতেশ হয়তো দল ছাড়বেন। সেটা বড় ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ। কারণ বিশাল জনভিত্তি না থাকলেও রিতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুর মতো নেতারাই বাংলায় বিজেপিকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রেখেছিলেন।
আগামী দিনে দল কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে চলে গেলে রাজ্য বিজেপি তে ধ্বস নামবে বলেই তাদের আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে রিতেশের মতো আদর্শগত নেতারাই রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মুখ্য ভূমিকা নেবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
তাই বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের একাংশের মনোভাব হল, কংগ্রেসী জয়প্রকাশ গেলে যাক, কিন্তু রিতেশের বিষয়টি আলাদা করে বিবেচনা করুক দলের রাজ্য নেতৃত্ব।