বিধানসভা ভোটে লড়ায়ের আগ্রহ বাড়ছে বিজেপি সাংসদদের একাংশের

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে দল ক্ষমতায় আসছে ধরেই নিয়েছেন বঙ্গের বিজেপি সাংসদদের একাংশ। আর দল ক্ষমতায় আসলে যাতে মন্ত্রিত্ব বাগানো যায়, তার জন্য বিধানসভা ভোটে লড়তে চান বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ।

ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিধানসভা ভোটে লড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবদারও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

তবে বেশ কয়েকজন সাংসদকে বিধানসভার ভোটের লড়াইয়ে নামানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। প্রতিটি বিধানাভা কেন্দ্র থেকে তিনজন করে প্রার্থীর নাম প্রাথমিক তালিকায় রাখা হবে।

তার পরে কোনও পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে ওই তিন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। রাজ্যে যাঁরা দলের পরিচিত মুখ, তাদের অধিকাংশকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়েছিল এবং তাঁরা জয়ী হয়েছেন।

শুধুমাত্র আনকোরা মুখ নিয়ে ভোটে নামলে খুব একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন পদ্ম শিবিরের নীতি-নির্ধারকরা। তাই পরিচিত মুখের খোঁজে রয়েছেন।

আর দল পরিচিত মুখের খোঁজে রয়েছেন, জানার পরেই বেশ কয়েকজন সাংসদ বিধানসভা ভোটে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের চার ও দক্ষিণবঙ্গের ৫ সাংসদ রয়েছেন। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ‘ওই সাংসদদের অনেকেই কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব কিংবা কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ জুটবে বলে আশা করেছিলেন।

কিন্তু তা না জোটায় হতাশ। রাজ্যে যদি দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে যাতে মন্ত্রিত্ব বাগানো যায়, সেই দিকেই নজর দিয়েছেন। তবে সবার ইচ্ছা পূরণ না হলে বেশ কয়েকজনকে বাধ্য হয়ে বিধানসভার ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে নামানো হতে পারে।’

তবে সূত্রের খবর, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মূর্মূ, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানদের বিধানসভা ভোটের লড়াইতে নামানো হতে পারে।

মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ফের খড়গপুরে দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বিজেপির শীর্ষ মহলে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/durgapujo-2020-about-citizen-security-meeting/

 

তাছাড়া গত লোকসভা ভোটে যাঁরা দলীয় প্রার্থী হয়েছিলেন এবং হেরে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত তাঁদেরও টিকিট দেওয়া হতে পারে।

বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল-কংগ্রেস ও সিপিএমে বড় ধরনের ভাঙন ধরানোর একটা চেষ্টা চালানো হবে। সেই চেষ্টা সফল হলে যাঁদের ভাঙিয়ে আনা হবে, তাঁদেরও প্রার্থী করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট