বিজেপি সমর্থক মহিলাকে মারধরে ইন্ধনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  পারিবারিক বিবাদে এবার নাম জড়াল বারাসত পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন তৃনমূল কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকের।উঠল বিজেপি সমর্থক মহিলাকে মারধরে ইন্ধনের অভিযোগ। মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলার স্বামীরও। চলছে প্রতিনিয়ত হুমকি ও বাড়ি ছাড়া করার শাসানি। এর জেরে আতঙ্কের মধ্যে এখন দিন কাটছে মহিলার পরিবারের।

ঘটনাটি বারাসতের ডিপ টিউবওয়েলের সূর্য সেন পল্লীর। ঘটনার পর বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ।যদিও মহিলার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর।

জানা গেছে,বিজেপি সমর্থক ওই মহিলার বাড়ি বারাসত পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তার স্বামী শেখর বিশ্বাস বালাপোশের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ব্যবসার কাজে মাঝেমধ্যেই তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়।জমিজমা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার শ্বশুর মধুসূদন ও ভাসুর মলয়ের পারিবারিক বিবাদ চলছে বলে অভিযোগ।

শ্বশুর ও ভাসুর দু’জনেই তৃণমূল দলের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ,জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দিন পনেরো আগে ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাকে শ্বশুর ও ভাসুর বেধড়ক মারধর করে। রীতিমতো মাটিতে ফেলে মহিলাকে নিগৃহীত করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বাঁশ ও লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় তার। ঘটনার সময় ব্যবসার কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন মহিলার স্বামী শেখর বিশ্বাস। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃনমূলের স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকের কাছে গিয়েছিলেন ঘটনার বিহিত চাইতে। কিন্তু,পরিবর্তে আক্রান্ত মহিলার কপালে জুটেছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শাসানি।

অভিযোগ,কাউন্সিলরের ইন্ধনে সেই সময় তার দলবল ফের মহিলাকে নিগৃহীত করে বলে অভিযোগ।হুমকি দেওয়া হয় বাড়ি ছাড়া করারও। এর জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত মহিলার পরিবার।ঘটনার পরই বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসবের মধ্যেই আজ সকালে মহিলার স্বামী বাড়ি থেকে বালাপোশ বের করতে গেলে বাধা দেয় তার শ্বশুর।আচমকাই পিছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় শেখরের মাথায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে । এই বিষয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/from-trainers-to-ordinary-people-worried-about-infection-when-the-train-starts/

এদিকে,তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক বলেন,”আমার নাম করে কেউ হুমকি দিচ্ছে কিনা,সেটা আমার জানা নেই।তবে,এই বিষয়ে মহিলার শ্বশুর ও পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বললেই ওদের সামাজিক অবস্থান জানা যাবে।আমার ওয়ার্ডে বেপাড়ার লোক এসে যদি মারধর ও অশান্তি করে তাহলে পুলিশ প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। সেদিনও ওই মহিলার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।আগামী দিনেও যদি একই ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রেও আইন আইনের পথে চলবে”।

মহিলা ও তার স্বামী তো বিজেপির সমর্থক?সেই কারনে তৃণমূল কর্মীরা মহিলাকে মারধর করেছেন?এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমতো প্রচ্ছন্ন হুমকির সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের গলাতে।

বলেন,”পশ্চিমবঙ্গের সিংহভাগ লোকই তৃণমূল করে।সেখানে যদি কাউকে ভদ্রতা,সভ্যতা শেখাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে কিছু বলার আছে? তৃণমূল যদি মারধর করে থাকে তাহলে তৃণমূল মেরেছে।আর যদি পাড়ার মহিলারা সবক শেখাতে মারধর করে তাহলে তারা মারধর করেছে।এরা যদি বিজেপি-তে গিয়ে সেই দলকে সমৃদ্ধ করে থাকে,তাহলে দেখব কিভাবে সেই দল সমৃদ্ধ হয়”।

সম্পর্কিত পোস্ট