অভিষেকেই আস্থা মমতার, গুরুত্ব বাড়ল ফিরহাদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: বাজারে প্রচলিত যাবতীয় আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে অভিষেকেই আস্থা রাখলেন মমতা। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল হলেন অভিষেক। পাশাপাশি আরও গুরুত্ব বাড়ল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। জাতীয় স্তরে সমন্বয় রক্ষার দায়িত্ব মমতার সঙ্গে এবার তিনিও সামলাবেন।
যাবতীয় জল্পনাকে নস্যাৎ করে জাতীয় স্তরে দলের দায়িত্ব বন্টনের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল দলের সংগঠনের যাবতীয় দায়িত্ব থাকছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই। তবে তাঁকে সাহায্য করার জন্য জাতীয় দলের একাধিক কমিটি তৈরি করেছেন তৃণমূলনেত্রী।
যেহেতু জাতীয় স্তরে দলের ক্রমশ বিস্তার ঘটেছে তাই নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক নীতির যে প্রয়োজন তা আগেই উপলব্ধি করেছিলেন মমতা। সেই মতো দলের আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব দিলেন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য যশবন্ত সিনহা ও অমিত মিত্রের হাতে। পাশাপাশি দলের সহসভাপতি করেছেন যশোবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুব্রত বক্সীকে।
এদিকে ফিরহাদ হাকিমের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে জাতীয় কর্মসমিতির সমন্বয় রক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন মমতা। অর্থাৎ কলকাতার মেয়রের চোখ দিয়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির কাজকর্ম দেখবেন তৃণমূলনেত্রী।
গুরুত্ব বেড়েছে অরূপ বিশ্বাসেরও। তাঁকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে।
এদিনের বৈঠক শেষে জাতীয় মুখপাত্রদের নামও ঘোষণা করেছে তৃণমূল। শুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মহুয়া মৈত্রকে জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে। তারাই এবার থেকে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত দলের বক্তব্য তুলে ধরবেন।
এদিকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য না হলেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দলীয় সংগঠনের কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিকদের কাঁধে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বৈঠকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা ছাড়াও গোয়ার লুইজিয়ানো ফেলেইরো, অসমের সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, মেঘালয়ের মুকুল সাংমারা এদিন উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে ভারপ্রাপ্তদের যে তালিকা ঘোষণা করলেন তা সত্যিই অনবদ্য। তালিকা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে সুদূর প্রসারী লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল।