ফিল্ম এডিটরের ফেসবুক পোস্ট দেখেই শিশুর প্রাণ বাঁচাল অভিষেকের টিম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবার তখন রাত এগারোটা। তখনই হঠাৎ ফেসবুকে একটি পোস্ট করলেন টলিউডের পরিচিত ফিল্ম এডিটর অনির্বাণ মাইতি। তাঁর সেই পোস্টে এক নবীন দূতের প্রাণ রক্ষার জন্য প্রবল আকুতি।
এক অপরিচিত শিশু, যার বয়স মাত্র ৩ দিন, প্রাণ বাঁচাতে হলে অতি দ্রুততার সঙ্গে ঐ কোমল হৃদযন্ত্রে স্টেন বসাতে হবে! সে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য আরও উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি আছে এইরকম হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। কিন্তু পরিবারের সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই।
টলিউড এডিটর ফেসবুকে পোস্ট করে সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এমনকি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর নজরে এলে তাকে যদি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা যায় সেই অনুরোধও করেন তিনি। ওই ফেসবুক পোস্টের মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিকের মতো কাজ হয়।
বিষয়টি নজরে পড়ে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর টিমের সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই তাকে দক্ষিণ কলকাতার নামি বেসরকারি হাসপাতাল আর এন টেগরে ভর্তি করা হয়।
এ কল্যাণ কেমন ‘কল্যাণ’, এতো শুধুই অকল্যাণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা!
পরে মাঝরাতে আরও একটি ফেসবুক পোস্ট করে ওই ফিল্ম এডিটর জানান শিশুটির যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। একটি ফেসবুক পোস্ট দেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম যে দ্রুততায় তার পাশে গিয়ে দাঁড়াল তা সত্যি কুর্নিশ যোগ্য। তিনি যে মানবিক মুখের পরিচয় দিলেন তা সত্যিই অতুলনীয়।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ফিল্ম এডিটর অনির্বাণ মাইতি আদ্যোপান্ত বামপন্থী পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শুভেন্দু মাইতি। তিনি বর্তমানে অসুস্থ। তবে এই কিছুদিন আগেও বারবার মমতা সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন। কিন্তু মানবিকতার প্রশ্নে কোনও রাজনৈতিক রং দেখলেন না অভিষেক। তাই তো তাঁকে অনির্বাণবাবুও কুর্নিশ জানিয়েছেন