তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় এই দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলী ঘোষ দোস্তিদার। যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ।
দায়িত্ব পেলেন কুণাল ঘোষ। তাঁকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।রাজ চক্রবর্তী, পুর্নেন্দু বসু, দোলা সেনকেও দেওয়া হয়েছে নতুন দায়িত্ব। এক-কথায় বলা যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল ক্ষেত মজদুর সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে পূর্ণেন্দু বসু। রাজ্য INTTUC র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কালাচারাল প্রেসিডেন্ট রাজ চক্রবর্তী। সর্বভারতীয় INTTUC-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দোলা সেনকে।
এদিনের বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, কথায় কথায় ব্যবহার করা যাবে না নীল বা লাল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে গরু-কয়লা কেলেঙ্কারীতে কোনো নেতার নাম যেন না জড়ায়। পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতি ছেড়ে জনস্বার্থে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের উপর ক্ষুব্ধ সৌমিত্র! রাজ্য সরকারের লকডাউন নির্দেশিকাকে প্রাধান্য দিয়েই থাকছেন না বৈঠকে
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের কর্মী ও নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় দল বিরোধী কোনো মন্তব্য করা যাবে না। কোনো বক্তব্য থাকলে তা আগে দলের অন্দরে জানাতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নবীন-প্রবীন মেলবন্ধনে কমিটি গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একঝাঁক তরুণ নেতাদের সামনের সারিতে এনে বিরোধীদের কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। এবার রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের দিকে যে তিনি নজর দিয়েছেন এদিনের কমিটি গঠন থেকে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়করা সহ উপস্থিতি ছিলেন ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর।বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায় সব মিলিয়ে মোট ৯ জেলায় সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে