নতুন বিল না এলে টাকা নয়,কাটা যবে না লাইনও :শোভনদেব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলল। কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলল না। আশ্বাস মিললেও, সমাধান মিলল না। সাময়িক জট কাটলেও, রফাসূত্র মিলল না। আতস কাঁচের তলায় ধরলে এটাই হল সিইএসসি কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকের নির্যাস।

সোমবার বৈঠকের পর বিদ্যুত্মনন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দিলেন, নতুন বিল না এলে পেমেন্ট করার দরকার নেই। গড় বা গত বছরের জুনের ভিত্তিতে নয়া বিল তৈরি করতে হবে তা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এখন আপাতত যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকদের শুধু জুন মাসের বিল পাঠানো হবে। আপাতত, শুধু জুন মাসের নতুন বিল দিলেই হবে।

এদিন মন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, চূড়ান্ত ফয়সালা না হলে টাকা নয়, কাটা যাবে না লাইন। বিদ্যুতের দিল দেওয়ার জন্য পাওয়া যাবে সময়। আপাতত, সময় চেয়েছে সিইএসসি। নয়া বিল কীভাবে তৈরি হবে তা জানাতেই এই সময় চাওয়া হয়েছে বলে খবর।

বিদ্যু‍ৎমন্ত্রী বলেন, সিইএসসি দাবি করেছে, বিলে এক পয়সা বেশি নেওয়া হয়নি। তাঁর আশ্বাস, যাঁরা ইতিমধ্যেই বিল মিটিয়েছেন, তাঁদের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। সমাধান না মেলা পর্যন্ত বিল দিতে দেরি হলেও মিলবে ছাড়।

ভার্চুয়ালে একুশের আমেজ ম্লান, শহীদ তর্পণ শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছবে তো!

মন্ত্রী বলেছেন, লকডাউনে মানুষ ঘরে ছিল, তাই বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, এক সঙ্গে তিন মাসের বিল দেওয়াতে অঙ্ক অনেকটা বেড়েছে। তবে তিনি বলেছেন, লকডাউনে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ, এই অবস্থায় বিলের অঙ্ক বাড়ায় অসুবিধে হচ্ছে সকলের। সরকারের পক্ষ থেকে সিইএসসি-কে যথেষ্ট চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ ও ইডি এইচআর গৌতম রায়। মন্ত্রীকে তাঁরা এই বলে আশ্বাস দেন যে, এপ্রিল ও মে মাসের বিল কী হবে, তা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন আপাতত যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকদের শুধু জুন মাসের বিল পাঠানো হবে।

শুধু জুন মাসের নতুন বিল হবে সেটা। একইসঙ্গে সিইএসসি-র তরফে আরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, কোনও কানেকশন কাটা হবে না।

প্রসঙ্গত, লকডাউনে সিইএসসি-র বিল নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছয় মানুষের হয়রানি। জুন-জুলাই মাসের বিল আসতেই গ্রাহকরা দেখেন হাজার হাজার টাকা বিল এসেছে। কখনও তা মাত্রা ছাড়িয়ে লক্ষাধিক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসে।

সিইএসসি-র তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, লকডাউনে সবাই ঘরবন্দি, বাড়িতে। তাই বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তবে সে যুক্তি খুব একটা ধোপে টেকেনি। ‘বিলে জল মেশানো’র অভিযোগে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা।

এমনকি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই বিল আসে প্রায় ১১ হাজার টাকা। মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে তারপরই হুঁশিয়ারি দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই নড়েচড়ে বসে সিইএসসি।

সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিদ্যুতের বিলে গলদ থাকলে তা পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সমস্ত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হবে কেন এত বিল। সেইমতো শনিবার বিজ্ঞাপনও দেয় সংস্থা।

তবে বিজ্ঞাপনে ভুলের কোনও কথাই স্বীকার করেনি। বরং উল্টো জানায় বিলের সম্পূর্ণ টাকাই দিতে হবে। তা দেখে ফের চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে। তবে শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে খানিকটা পিছু হটল সংস্থা।

সম্পর্কিত পোস্ট