ওয়াটগঞ্জের সভা থেকে তৃণমূল-বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ অধীরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। মঙ্গলবারই তা ঠিক করে দেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর বুধবার কলকাতায় পদযাত্রা করে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি বলেন, কংগ্রেস সরে যাওয়ার পর ভারত আর্থিক ক্ষমতাশীল দেশ হিসাবে ছয় নম্বরে নেমে গিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন কংগ্রেসের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করা। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে বলল কংগ্রেস করেছি তাই আমার লজ্জা লাগে। কংগ্রেসকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর সেই তৃণমূলের নেতারা বলছেন বিজেপিকে তৃণমূলকে সমর্থন করতে।
কংগ্রেস যদি মিউজিয়ামে চলে যায় তাহলে কেন কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন কংগ্রেস সাংসদের। কংগ্রেসকে আজও আপনার মনে পড়েছে। কংগ্রেসকে প্রয়োজন আপনার পড়ছে। আমাদের ভালো লাগছে কংগ্রেসের অস্তিত্বকে তাঁর দল স্বীকার করছে।
আরও পড়ুনঃ বহিষ্কারের পর কংগ্রেসে মোশারফ
একইসঙ্গে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সরকার যে ব্যবহার করেছে তাঁর নিন্দা করেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্ট করেন, বাংলায় সবাই ধরে নিয়েছিল লড়াই হবে দ্বিমুখী। কিন্তু একুশের নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী।
এদিন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেনের তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে আসা নিয়ে মুখ খুললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, তৃণমূল এখন ভাঙতে শুরু করেছে একটা অংশ বিজেপিতে যাচ্ছে আর একটা অংশ কংগ্রেসে আসবে। কারণ যারা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করতে চায় তারা কংগ্রেসে আসবে। তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের শেষ হতে চলেছে. তৃণমূল সরকার দুর্নীতির দ্বারা সৃষ্ট এবং দুর্নীতির দ্বারা পরিচালিত।
বুধবার বিজেপিতে যোগদান করেন একঝাঁক টলিউড তারকা। এপ্রসঙ্গে তিনি বলনে, টলিউড জানে যে তাঁদের কোথায় যেতে হবে। টলিউড সবসময় যার ভার বেশি তাদের দিকেই ঝোঁকে বিজেপির বাজার ভালো তাই টলিউড বিজেপির দিকে ঝুকে যাচ্ছে।
১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবর নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হন ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা। তাঁর মৃত্যু প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মইদুল ইসলামের মৃত্যু হল সেই জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন না। যারা তাকে মেরেছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেন না। তাঁর মৃত্যুর জন্য সরকার দায়ী। সেই সরকারের দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি নেয়ার চেষ্টা করছেন এবং সবকিছু চাকরির দ্বারা হয় না।
তিনি আরও বলেন, চাকরি দিলে সবকিছু হয় না। যদি অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন যদি দুঃখ প্রকাশ করতেন তাহলে বেশি খুশী হতাম। কিন্তু তাঁরা পুরো ব্যাপারটাকে চাকরি দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করলেন সেটার আমরা বিরোধিতা করি।