বামেদের সঙ্গে এখনই জোট ভাঙতে নারাজ অধীর রঞ্জন চৌধুরি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  ভবানীপুরে প্রার্থী দেবেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-র যে জোট তৈরি হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ কি হবে? এর প্রয়োজনীয়তা এই মুহূর্তে ঠিক কতটা ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বামেদের শরিক দলগুলি।অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।

নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এখনই ভাঙা হচ্ছে না। রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।  একই সঙ্গে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়ে দিয়েছিলেন, বামেরা নিজে থেকেই জোট ভাঙবে না। তবে এবার কংগ্রেস কোন পথে হাঁটবে সেটা একান্তই তাদের বিষয়।

তবে সূর্যকান্ত মিশ্রের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সহ অন্যান্য শরিকদলগুলো অবশ্য একমত হতে পারেনি।  এই বিষয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল সিপিএম-র। কোন কারণবশত সেই বৈঠক অবশ্য হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে আলিমুদ্দিনের অন্দরমহল সূত্রে।

এরই মাঝে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্পষ্ট করে দিয়েছেন বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট ভাঙার পরিকল্পনা তাদের নেই। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য শরীর দলগুলিকে আদৌ সিপিএম পাশে পাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই গেল। একই সঙ্গে শরিক দলগুলোর অনেক নেতাই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভরাডুবির দায় চাপিয়েছেন কংগ্রেস এবং আই এস এফ এর সঙ্গে জোটের উপরেই।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ থেকে ‘হাত’ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস নেতারা বুঝেছেন অতি বড় মমতা বিরোধী হওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছ।

মুখে বলেন “…নাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”, ছাড়েন আর কই !

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। তৃণমূল এই মুহূর্ত থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের একাধিক নেতা চাইছেন তৃণমূলের সঙ্গে তুমুল বিরোধিতায় না গিয়ে নরমে-গরমে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত শক্ত করতে। এতে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে হালে পানি পাবে তারা।

তবে সিপিএমের শরিক দলগুলির যুক্তি, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কি হবে বা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে, তা নির্ধারণ করবে হাইকম্যান্ড। তাই এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধলে রাজনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন বামেরা। তাই শরিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরেই জোটের ভবিষ্যত নিয়ে ধোঁয়াশা স্পষ্ট হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট