আদি বনাম নব্য দ্বন্দ, গাইঘাটায় নব্য বিজেপি কর্মীদের নামে পোস্টার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দলবদলে হিড়িক। এতদিন যারা তৃণমূলের হয়ে বিজেপির বিরোধিতা করে গিয়েছেন আজ তারাই রংবদলে দলবদলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এতে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।
কারণ কথায় আছে, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। বিষয়টা অনেকটা সেরকমই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর আঁচ না পড়লেও দলের নেতাকর্মীরা যারা দলকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসেন দিনের পর দিন তৃণমূলীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তারা বলে জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা।
নিচু তলার অনেক কর্মীরাই বলছেন, এতদিন যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি আজ তাদের সঙ্গে নিয়ে কোনমতেই সমঝোতার পথে হাঁটতে পারব না। আর এতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিজেপির নব্য বনাম পুরাতন বিবাদ।
নব বিজেপি নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে পোস্টার ফেললেন গাইঘাটা পুরাতন বিজেপি কর্মীরা। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার যেমন হিড়িক পড়েছে ঠিক তেমনি বিজেপির মধ্যেও নব ও পুরাতোনের দণ্ড মাথাচাড়া দিচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার দক্ষিণ বাগনানে যশোর রোডের পাশে একটি পোষ্টার দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ৯ জন নেতা নেত্রীর দূর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/cbi-files-chargesheet-on-hathras-gang-rape-case/
তাদের ছবির নিচে লেখা রয়েছে,
- মুকুল রায় (সারদা কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা),
- অর্জুন সিং (খুনি ও ব্যাপক বড় তোলাবাজ),
- লকেট চট্টোপাধ্যায় (শিশু পাচার কেলেঙ্কারিতে যুক্ত),
- সৌমিত্র খাঁ (এসএসসি ও টেট কেলেঙ্কারি যুক্ত),
- সব্যসাচী দত্ত (জমি মাফিয়া),
- নিশিথ প্রামানিক (গরু ও সোনা পাচারে যুক্ত),
- অনুপম হাজরা (চাকরিতে টাকা তোলা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত),
- মনিরুল ইসলাম (খুনি ও বালি মাফিয়া),
- শঙ্কুদেব পণ্ডা (সারদা কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতিতে যুক্ত)।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপির দাবি একুশে বিজেপি সরকার গড়েছে। একে একে তৃণমূল সরকার ভেঙে পড়ছে। তাই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার অভিসন্ধি নিয়েই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সব কাজ করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, একদা তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্থ নেতারা নিজ দলে ঠাঁই না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। পুরাতন বিজেপি কর্মী নেতারা জায়গা পাচ্ছেন না। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলই এটা। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই।