পাকিস্তানি-তালিবানি সীমান্ত রক্ষীরা পাশাপাশি, মুচকি হাসি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: সীমান্তরক্ষীরা পরস্পর মুচকি হাসছে। একটু সংযত পাকিস্তান রেঞ্জার্স। সামরিক আদবকায়দাহীন তালিবান রক্ষীদের ততটা দায় নেই। হাসাহাসি হলেও আফগানিস্তান ও পাকিস্থানের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে তেমন কথা চলছে না। সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাওয়ার দিকে কড়া নজর রাখছে তারা।
২৬৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত ডুরান্ড লাইন নামে সুপরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান তৈরির পর ডুরান্ড লাইন আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত।
গত ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। রাজধানী কাবুল দখলের আগে একের পর এক প্রদেশ তারা দখল করে। তখন থেকেই আফগানিস্তানের লাগোয়া পাকিস্তান সহ সবকটি দেশের সীমান্তে তালিবান কব্জা হয়ে যায়।
আফগান-পাক সীমান্তের সবথেকে ব্যস্ততম হলো তোরখাম। সীমান্তের আফগানিস্তানের দিকে উড়ছে তালিবান পতাকা ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে পাকিস্তানের পতাকা। গায়ে গায়ে ঘেঁষে দুই দেশের সীমাম্তরক্ষীরা দাঁড়িয়ে। তোরখাম চেক পোস্টে আফগানিদের কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলছে তালিবান সীমান্তরক্ষী বাহিনি।
পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সীমান্তরক্ষীরা বিবিসিকে বলেছেন, তালিবান বাহিনি যখন মে মাসে আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে, তখন থেকে এই সীমান্ত এলাকায় শরণার্থীদের ভিড় শুরু হয়। তবে তালিবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর থেকে আফগান যাত্রীদের সংখ্যা কমেছে। তোরখাম সীমান্তের পাশে পাকিস্তানের দিকে বহু আফগান শরণার্থী রয়েছেন। এদের অনেকেই আর আফগানিস্তানে ফিরতে চাননা।
রাষ্ট্রসংঘ শরণার্থী বিষয়ক দফতর পাকিস্তান সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে আফগানিদের আশ্রয় দিতে। পাকিস্তান জানায়, পাক সরকার আর শরণার্থী নিতে নারাজ বলে জানিয়েছে।
কাবুল তালিবান জঙ্গিদের দখলে চলে যাওয়ার পর তোরখাম সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার থেকে কেবল আফগান পণ্যবাহী ট্রাক ও পাসপোর্ট ও ভিসা নেওয়া বৈধ যাত্রীদেরই প্রবেশে করতে দিচ্ছে পাক সরকার