সুস্মিতার লেখা সেই তালিবানি ভয়ঙ্কর দিন ফের ফিরছে আফগানিস্তানে

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কাবুল জুড়ে আশঙ্কা-কী হয় কী হয় চিন্তা! ঘিরে নিয়ে ঘাড়ের কাছে নি:শ্বাস ফেলছে তালিবান। ফের আফগানিস্তান চলে যেতে পারে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সরকারের দিনগুলিতে।

নব্বই দশকের সেই তালিবান শাসনের দিনগুলি লিখে রেখেছেন বাঙালি আফগানি সুস্মিতা ব্যানার্জি (বিবাহ পরবর্তী আফগানি নাম সৈয়দা সাহেব কামাল ব্যানার্জি)। মোল্লা ওমরের সেই সব দিন অতীত। কিন্তু আফগান তালিবানরা পরবর্তী নেতৃত্বেনেতাও মাধ্যমে ও সীমান্তপারের পাকিস্তান তালিবান শাখার মদতে আফগানিস্তানের একটার পর একটা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শুরু করেছে ধর্মীয় রীতির কঠোর ‘শরিয়া শাসন’।

বিবিসি, আলজাজিরা সহ বিভিন্ন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের খবর, মার্কিন সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে পুরো আফগানিস্তান জুড়ে নেমেছে আশঙ্কার কালো মেঘ। সংবাদ সংস্থাগুলির খবর, দেশটির ৭০ শতাংশ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন। এইসব এলাকায় কায়েম হয়েছে তালিবান শাসনরীতি।

মুক্ত আমেরিকা , কমিউনিস্ট ইস্তেহার প্রকাশ বিবেকানন্দের প্রয়াণ -অদ্ভুত তারিখ ৪ জুলাই

আল জাজিরার খবর, আফগান সরকারি বাহিনিকে হটিয়ে তালিবানরা উত্তর পূর্ব প্রদেশে দখল করা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে কড়া শরিয়া আইন চালু করেছে তালেবান। এই আইনের ধারা অনুযায়ী মহিলারা ফের গৃহবন্দি, প্রকাশ্যে মাথা কাটা ও আরও সব ভয়ানক পদ্ধতি রয়েছে। বিয়ের যৌতুক সংক্রান্ত বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে।

কী অবস্থা হবে আফগানিস্তানের? সেখানে বিনিয়োগ করা ভারকীয় প্রকল্পের? নয়াদিল্লি চিন্তিত। সেই চিন্তা আরও বাড়িয়েছে পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে আফগান তালিবানদের সংযোগ।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ আগেই সতর্ক করেছে আফগানিস্তান থেকে সামরিক জোট প্রত্যাহারের পর আফগান জনজীবন ও মহিলারা হুমকির মুখে পড়বেন। হতে কয়ে বছরে তাদের যতটুকু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তালিবানরা পুনরায় ক্ষমতায় এলে পুরোটাই নষ্ট হলেও সেদিকেই এগোচ্ছে দেশটি। জুলাই মাসের শুরুতেই তালিবানরা আফগানিস্তানের ৩৫টি প্রদেশের ৪২১টি জেলার মধ্যে ১৫০ট মতো জেলা দখল করেছে। বাকি জেলা দ্রুত তারা দখল করে নিতে চলেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট