শেষ আফগান অর্থমন্ত্রীর জীবন কাটছে উবের চালিয়ে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একবার মন্ত্রী হয়ে গেলেই হল। তাহলেই বাকি জীবনটা পায়ের ওপর পা তুলে কাটানো যাবে! এমনই ধারণা করে থাকি আমরা। আমাদের চারপাশের নানান উদাহরণ বুঝিয়ে দেয় সেই ধারণা খুব একটা ভুলও নয়।
কিন্তু জীবন যে কখনও কখনও অন্যরকম কিছুও ভেবে থাকে তার প্রমাণ হাতেগরম পাওয়া গেল। ছিলেন দেশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অর্থমন্ত্রী। অথচ মাত্র ছয় মাসের মধ্যে গোটা জীবনটাই বদলে গেছে। এখন ভিনদেশে উবের ট্যাক্সি চালিয়ে রোজগার করতে হচ্ছে! এটাই আজ চরম সত্যি আফগানিস্তানের শেষ নির্বাচিত অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দার জীবনে!
তালিবান ১৫ আগস্ট কাবুল কব্জা করে নেয়। পতন হয় আশরাফ ঘানি সরকারের। তার ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ১৪ আগস্ট পরিস্থিতি গুরুতর বুঝে অর্থমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়েন খালিদ পায়েন্দা। কোনরকমে গিয়ে পৌঁছন আমেরিকায়।
সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাস পরিচালনার দায়িত্বে রাজ্য, এক মাসে ১ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়
কিন্তু হাতে যে কোনও অর্থ নেই। এদিকে স্ত্রী ও চার সন্তানকে কী খাওয়াবেন সেই নিয়ে চিন্তা। শেষে অতীতে কী ছিলেন তা ভুলে গিয়ে হাতে তুলে নেন ট্যাক্সির স্টিয়ারিং। দেশের অর্থমন্ত্রী থেকে মূহুর্তে হয়ে ওঠেন উবের চালক!
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এই মুহূর্তে উবের চালিয়েই উপার্জন করছেন গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত আফগানিস্তানের এই শেষ অর্থমন্ত্রী। কাবুলে ফিরে যাওয়ার আর কোনও উপায় নেই।
পাশাপাশি এই পরিচিত অর্থনীতিবীদ আমেরিকার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় পার্টটাইম অধ্যাপকের চাকরিও নিয়েছেন। তবে আফগানিস্তান ফের তালিবানের কব্জায় চলে যাওয়ায় একরাশ আক্ষেপ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়। পায়েন্দা এর জন্য আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারকেই দায়ী করেন।