মাদুরহের বাড়িতে তিন ঘন্টার তল্লাশি, ছেলের শাস্তি চাইলেন দেবাঞ্জনের মা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার সন্ধ্যে ৬ টা থেকে রাত ৯টা অবধি কসবা ভ্যাকসিনকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়িতে তল্লাশি চালালো পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দেবাঞ্জনের বাবা-মাকেও। তার বাড়ি থেকেও কয়েকটি তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছেলের শাস্তি চেয়েছেন মা।

এদিন দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালায় লালবাজারের তদন্তকারী অফিসাররা। কী কারণে ছেলে এই কাজ করতে গেল? মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই ভেঙে পড়েন মা। ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর এদিন দেবাঞ্জনের মার্কশিট সহ একাধিক তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলো আদৌ সত্য কিনা তা যাচাই করা হবে শীঘ্রই।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র জাল অ্যাকাউন্ট নয়, পুরসভার নামে জাল ইমেল আইডি খুলেছিল দেবাঞ্জন দেব৷ ইলেম মারফত কোভিশিল্ড চেয়ে বসেছিল দেবাঞ্জন।

দেবাঞ্জনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, manager@kmcgov.org নামে মেইল আইডির মাধ্যমে সেরাম ইন্সটিটিউটে যোগাযোগ করে নিজের অফিসের কর্মীদের অজুহাতে কোভিশিল্ড চেয়ে পাঠায় দেবাঞ্জন৷ পরে তা সাফল্য পেলে একেবারে টিকাকরণ শিবির খুলে বসে সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভা নয়, আই অ্যান্ড সিএ, পিডব্লুডি এবং ডব্লুবিএসইসি দের মতো একাধিক সরকারি দফতরের প্যাড এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করত দেবাঞ্জন। নিজেকে সরকারি আধিকারিক প্রমাণ করার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করে চিঠি লিখত দেবাঞ্জন৷ এমনকি প্রত্যুত্তরের চিঠিও লিখত সে। সেই জন্য একাধিক প্যাড এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করত। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের কাছ থেকে একাধিক স্ট্যাম্প এবং লেটারপ্যাড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার আরও ১০ জনকে তলব করেছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। এদের মধ্যে অনেকেই তার সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, এই তালিকা আরও দীর্ঘ। আরও বেশ কয়েকজনকে তলব করা হতে পারে৷

পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ফিনকর্পের নাম অ্যাকাউন্ট খুলে কর্মীদের বেতন দিত দেবাঞ্জন৷ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, কলকাতায় দুটি ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টার খুলেছিল দেবাঞ্জন। সোমবার তাকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে পারে পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট