আমফানের পর এনডিআরএফের ধাঁচে সাজানো হচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফানের মতাে প্রাকৃতিক তাণ্ডব যে মান্ধাতার আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে ঠেকানাে যায় না, তা ঠেকে শিখল রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও সিভিল ডিফেন্স দফতর।

অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার এনডিআরএফের ধাঁচেই সিভিল ডিফেন্স টিমকে আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরজন্য কেনা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। এই টিমের কাজ হবে, যে কোনাে বিধ্বংসী তাণ্ডবের পর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তােলা।

এরজন্য আলাদাভাবে অর্থও বরাদ্দ করা হচ্ছে।

রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও সিভিল ডিফেন্স দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর বড়াে বড়াে গাছ, বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, কোথাও বা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তা সরাতে বা রাস্তা পরিষ্কার করতে রীতিমতাে হিমশিম খেতে হয়েছে রাজ্যের এই বাহিনীকে।

দফতর সূত্রের খবর, তাদের কাছে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে তা মান্ধাতার আমলের। তাই বড়াে একটি গাছ কাটতেই বহু সময় পেরিয়ে গেছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় শুধু গাছ কাটাই নয়, রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি অথবা ভেঙে পড়া বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে ফেলাও এই বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হয়নি।

পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে চালু পঞ্চায়েত দফতরের তিন স্কিম

ফলে, এখনাে বহু জায়গায় গাছ পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি এখনাে রাস্তায় পড়ে আছে ।

এই কারণে মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাহলে রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের (সিভিল ডিফেন্সের)ভূমিকা কী ? এই প্রশ্ন উঠেছে ।

পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েই সেনা ও এনডিআরএফের সাহায্য নেয়। তারা দ্রুত কাজে না নামলে পরিস্থিতি যে আরাে খারাপ হয়ে দাঁড়াত তা রাজ্যের দুর্যোগ মােকাবিলা দফতরের কর্তারাও এখন স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তাই রাজ্যের এই বাহিনীকে আরাে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও আধুনিক যন্ত্রপাতি তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে রাজ্য সরকার । এ ব্যাপারে রাজ্যের দুর্যোগ মােকাবিলা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান দফতরের অফিসারদের নিয়ে একগুচ্ছ প্রকল্প তৈরিতে নেমেছেন ।

সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে এনডিআরএফের ধাঁচেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুধু কলকাতা নয়, জেলা ও মহকুমা স্তরেও। রাখা হবে আপকালীন উদ্ধারকারী গাড়ি। ব্লক স্তরেও এই ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা, তা নিয়েও মন্ত্রীসহ দফতরের কর্তারা বৈঠক করছেন।

বৈঠকে রাজ্যের দুর্যোগ মােকাবিলা দফতরের জন্য গাছ , বিদ্যুতের খুঁটি , ভেঙে পড়া বাড়ি ঘর দ্রুত সরিয়ে ফেলতে বৈদ্যুতিন করাত , ছােটো ছােটো ক্রেস , বড়াে কুড়ুল থেকে শুরু করে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।

বাহিনীকে আরও আধুনিকীকরণ করে তোলাই এখন দফতরের প্রধান লক্ষ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট