আয়লার পর আম্ফান, নতুন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, ন্যাজাট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের গত ১০ বছর আগে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আয়লাতে ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।
বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ছোট কলাগাছি,সহ বেশ কয়েকটি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল এই সব এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। নদীর নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফিশারির মাছ, ধানের জমি, বিভিন্ন ধরনের ফসল।
এমনকি এই এলাকার প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে ভিটে ছাড়া হয়ে কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করছে। আয়লায় সেই ক্ষতিপূরণ এখনো পর্যন্ত সরকার পূরণ করতে পারেনি। এই ঘটনা আজ ১০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে।
১০ বছরে হয়তো স্থানীয় মানুষরা কিছু টাকা,কিছু চাল পেয়েছেন। কিন্তু তাদের সেই ক্ষতিপূরণের সঠিক মূল্য আজও পর্যন্ত পাননি। এই দশ বছরের মাথায় আবারও এই এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান।
আম্ফান মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি প্রশাসনের
সেই আতঙ্কে আতঙ্কিত এইসব এলাকার বাসিন্দারা। তাহলে আবার কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে! আবার কি গরু ছাগল হাঁস মুরগি ছেড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে কোন উচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে? আবার কি সেই কোটি কোটি টাকার ফিশারির মাছ নষ্ট হবে? আতঙ্ক এখন পিছু ছাড়ছে না তাদের।
করোনাভাইরাসের জেরে চলছে লকডাউন। ফলে কর্মহীন হয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে এইসব এলাকার প্রচুর মানুষ। তার মধ্যে এই সব এলাকায় ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান।
অমাবস্যার ভরা কোটালে সাধারণত নদীতে জল অনেকটাই বেড়ে যায়। আর অমাবস্যার মধ্যেই যদি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরে তাহলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা থেকেই যায়।
আয়লা হওয়ার পর বেশ কিছু জায়গায় নদীবাঁধ মেরামতি হলেও অধিকাংশ জায়গায় এখনও মেরামতির কাজ বাকি। সেই সব জায়গার নদীবাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।