সৌগতের সঙ্গে বৈঠকের পরেও বিনা দলীয় ব্যানারে মিছিল করলেন শুভেন্দু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নেই দলীয় ব্যানার। খেজুরির কর্মসুচীতে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ দের নিয়েই মিছিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কি শুভেন্দু-সৌগতের দ্বিতীয় দফার বৈঠকে মেলেনি কোনও রফাসূত্র? রাজ্য রাজনীতিতে চলছে জোর জল্পনা।
মঙ্গলবার সকালে পুর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি অনুযায়ী, খেজুরিতে পদযাত্রা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবারের পদযাত্রার ছবিটা ছিল একেবারে আলাদা। দলীয় পতাকা নিয়ে নয়। বরং ‘আমরা দাদার অনুগামী’ পোস্টার ব্যানার নিয়ে মিছিল করলেন ‘জননেতা’। তিনি বলেন, ২০১০ সালে গড়বেতায় প্রায় ৩০০ জন সশস্ত্র বাহিনী ঢুকে এলাকা দখল করেছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে সশস্ত্র বাহিনীদের সরিয়ে দেন তিনি। প্রতি বছর মানুষের মধ্যে শান্তির বার্তা দিতে এই মিছিল করা হয় বলে জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
এদিন খেজুরির মিছিলে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক।
প্রায় একমাস ধরে দলের কোনও ব্যানার-পোস্টার ছাড়াই একাধিক কর্মসুচী করে চলেছেন মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সম্প্রতি রামনগরের এক জনসভা থেকে শুভেন্দু জানিয়ে দেন তিনি এখন দলের প্রাথমিক সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে তাড়াননি, তিনিও দল থেকে বেরিয়ে যাননি।
কিন্তু দলীয় ব্যানার ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসুচী তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুনরায় শুভেন্দুর সঙ্গে সেতুবন্ধন করতে উদ্যোগ নেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। গত সপ্তাহে এক দফা বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌগত রায়। সেকথা নিজেই জানান তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর, সোমবার ফের দ্বিতীয় দফার বৈঠক করেন সৌগত-শুভেন্দু। কিন্তু বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে পরিষ্কার করেননি দু’পক্ষ।
সূত্রের খবর, কাজের স্বাধীনতা কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে গতবারের বৈঠকে যে সাংগঠনিক রদবদলের কথা শুভেন্দু উল্লেখ করেছিলেন, এবারের বৈঠকে তা উল্লেখ করেন তিনি। তবে শুভেন্দুর কথা মাথায় রেখে কতটা রফাসূত্র বের করবে দল। সেবিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। তবে দুই পক্ষের বৈঠকের কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট শুভেন্দু অধিকারী। দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের মেনে নিলেও অভিষেক এবং প্রশান্ত কিশোরের দল পরিচালনা মানতে পারছেন না শুভেন্দু। আবার এই মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাঁকুড়া সফরে রয়েছেন শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে একাধিক মন্তব্য করা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান কোথায়? কি নিয়ে প্রায় ৯০ মিনিটের বৈঠক হল সৌগত-শুভেন্দুর? তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।