মিহিরের পর জগদীশ, কোচবিহারের ক্রমশ আলগা হচ্ছে তৃণমূলের দুর্গ

ধীরে ধীরে রাজনৈতিক হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে তোর্সা পাড়ে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পর এবং সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনীয়া। মঙ্গলবার নিজের দফতরে বসেই আইপ্যাক সংস্থাকে সতর্ক করলেন তিনি।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলের কার্যকলাপ নিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের মন্তব্য যেন আকছাড় ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় দলীয় কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট দলীয় বিধায়করা। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে তোর্সা পাড়ে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর পর এবং সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনীয়া। মঙ্গলবার নিজের দফতরে বসেই আইপ্যাক সংস্থাকে সতর্ক করলেন তিনি।

দলের কার্যকলাপ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, মিহির গোস্বামী দল ছাড়লে তাঁর ব্যাপক প্রভাব তৃণমূলে পড়বে। একইসঙ্গে দলের কার্যকলাপ নিয়ে জেলা নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

মাস দেড়েক আগেই ব্লক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মতবিরোধের কারণে দলের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ান কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর দলের কার্যকলাপ এবং পিকে টিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। একটানা ৪২ দিন রাজনৈতিকভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখার পর দলনেত্রী নিজে যোগাযোগ না করায় অভিমান প্রকাশ করেন মিহির বাবু।

মিহির গোস্বামীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে কার্যত ভাঙনের মুখে রয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন করে জেলা কমিটি গঠনের পর থেকেই কোচবিহারের নেতাদের মধ্যে দুরত্ব বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের কথায় তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়। তড়িঘড়ি জগদীশ বসুনিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয় প্রশান্ত কিশোরের টিম।

জানা গিয়েছে, সেখানে একাধিকবার মিহির গোস্বামীর কথা উল্লেখ করেন জগদীশ বাবু। মিহির গোস্বামী দল ছাড়লে অনেকেই দল ছাড়তে পারেন, এমনটা আশঙ্কা করেন তিনি। সেইসঙ্গে জেলা নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলে বলেন, বিধায়কের পরামর্শ ছাড়াই দিনহাটার-১ নম্বর ব্লকে ব্লক সভাপতি ঠিক করা হয়েছে।

২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরে ফাটল মেরামত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পিকে শিবিরকে। অন্যদিকে এই কোচবিহারে বিরাট জনসভা করে শক্তি প্রদর্শন করেছে গেরুয়া শিবির। জেলায় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের অন্তঃদ্বন্দ্বে বিজেপির ঘোলা জলে মাছ ধরার কাজ আরও সুবিধাজনক হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট