দুয়ারে সরকারের পর এবার তৃণমূলের ইস্তেহার থাকছে দুয়ারে রেশনের প্রতিশ্রুতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুয়ারে সরকারের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দুয়ারে রেশন। ১৪ ই মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসের দিন নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইস্তেহারে থাকছে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা চালু হলে আর রেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না মানুষকে। বরং রেশন পৌঁছে যাবে সরাসরি মানুষের দরজায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর হ্যাট্রিক সরকারের আসলে আগামী ৫ বছর মাসকাবারি রেশনের হোম ডেলিভারি দেবে রাজ্য সরকার। তৃণমূল এ বার আর রেশন নিতে রেশন দোকানে যেতে হবে না রাজ্যবাসীকে।
তৃণমূল ভোটে জিতলে আগামী ৫ বছর বাড়ির দরজায় রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে নিয়ম করে। রেশনের পরিমানও বাড়ানো হবে। চাল-ডাল সবই ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যবাসীর। লাইনে ঠেলাঠেলি, ভিড়, রেশন ডিলারদের চুরি সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে রেশন পোউছে যাবে সবার বাড়িতে।
আর কি থাকছে ইস্তেহারে?
তৃণমূল সূত্রে খবর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি চিকিৎসার মান উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইস্তেহারে তৃণমূলের ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা হলো উন্নয়ন। নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দুর্ঘটনার আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন সেখানে পুজো দিয়ে তিনি আসবেন কলকাতা, এসেই প্রকাশ করবেন দলের ইস্তেহার। আর ইস্তেহার প্রকাশের পূর্বে মন্ত্রী হিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, হিংসা নয় দলের লক্ষ্য শুধুই উন্নয়ন।
দলবদলের উল্টো স্রোতে হেঁটে তৃণমূলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা
কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথীর মতো যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল রাজ্যে তার কথা এবং ভবিষ্যতেও কী কী চালু রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে তার বিস্তারিত তালিকা থাকবে তাতে।
তাছাড়া দুয়ারে সরকার প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য সাথী যার মাধ্যমে বিরোধী পক্ষও একাধিক বার প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সেসবের কথাও থাকবে। সূত্রের খবর আগামী বছর থেকে বছরে দুবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাইছে মমতার সরকার।
ইস্তেহারে বিশেষ গুরুত্ব মমতার
উল্লেখ্য, এইবার বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহারে ইশতেহারে ‘বিশেষভাবে গুরুত্ব’ দিয়েছেন দলের শীর্ষনেতৃত্বের মতামতের বিষয়টিকে। তার মধ্যে থাকবে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সমাজের সকল স্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলির প্রসঙ্গ। এ ছাড়াও জোর দেওয়া হবে শিল্প ও কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিকে।
বিধানসভা ভোটের ইস্তেহার তৈরি প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘‘ইস্তেহার তৈরির জন্য নেত্রী দলের নেতা, কর্মী, বিধায়ক এবং সাংসদদের কাছে লিখিত আকারে মতামত এবং প্রস্তাব চেয়েছেন। সেই প্রস্তাবগুলি জমা পড়ার পর তৃণমূল নেত্রী নিজে তা খতিয়ে দেখবেন এবং বিবেচনা করবেন।
তারপর মনোনীত প্রস্তাবগুলিকে সামনে রেখে একটি খসড়া ইস্তেহার তৈরি করা হবে। সেই খসড়া ইস্তেহারের ভিত্তিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করবেন নেত্রী।
সেই কমিটিতে মমতা ছাড়াও থাকবেন একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক।’’ ২০২১-এ ফের রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য ওই কমিটিই জনতার কাছে চূড়ান্ত ইস্তেহার প্রকাশ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের মতোই এ বারও তৃণমূল নির্বাচনী ময়দানে নামবে রাজ্যের ‘শাসক’ হিসাবে। ফলে ইস্তেহারে গুরুত্ব পাবে গত পাঁচ বছরে তৃণমূলের ‘উন্নয়ন’-এর বিষয়গুলি। বিশেষত, নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত কৃতিত্বের কথা।
পাশাপাশি, বিজেপি-কে প্রধান প্রতিপক্ষ ধরে নিয়ে ‘বহিরাগত’ প্রসঙ্গ এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা’-ও ইস্তেহারে গুরুত্ব পাবে। তবে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, ইস্তেহার তৈরির কমিটির মতামতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে ঠিকই। তবে ইস্তেহারে স্থান পাবে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষাও।