জুন মাসের পরে জুলাইতেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি অব্যাহত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জুন মাসের পরে জুলাইতেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি অব্যাহত। এমত অবস্থায় বৃষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা করে চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে কৃষি দফতর কৃষকদের জন্য সাত দফার সুপারিশ করেছে। কম জল ব্যবহার করে কিভাবে ফলন অব্যাহত রাখা যায় মূলত সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কম জল ব্যবহার করে ধান ও পাট চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষি দফতরের সহায়কদের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে।
বৃষ্টি না হলে রোপণের আগে মূল জমিতে একটি সেচ দিতে বলা হয়েছে। জমিতে কিছুটা জল থাকা অবস্থায় সুস্থসবল চারা প্রতি গুছিতে ১টি বা ২টি করে রোপণ করতে বলা হয়েছে।বৃষ্টির জল ধরে রাখতে জমির চারিদিকে আল মজবুত করতে বলা হয়েছে।প্রথাগত কাদা চাষের মতো জল জমিয়ে রাখার দরকার নেই বলে জানানো হয়েছে।
রোপণের পর যদি বৃষ্টি না হয দোঁয়াস জমিতে ৩-৪ দিন পর এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জমির চরিত্র অনুযায়ী ৭-১০ দিন পর একটি আপৎকালীন সেচ দিতে বলা হয়েছে।এব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে কৃষকদের মধ্যে প্রচার চালানোর জন্যও কৃষি দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোটা জুন মাসে বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে। জুলাই মাসের প্রায় ১০ তারিখ হতে যায়, কিন্তু তাতেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির।উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণবঙ্গে ছিড়ে ফোঁটা বৃষ্টি ছাড়া দেখা মেলেনি ভারি বৃষ্টির। আর এই সময়টি হল ধান রোপণের সময়। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষি দফতর। একদিকে বৃষ্টির ঘাটতিতে আমন ধান রোপন করা যাচ্ছে না।অন্যদিকে মার খাচ্ছে শাকসবজি।
অমরনাথে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের দ্রুত ফেরাতে তৎপর নবান্ন, চালু হেল্পলাইন
গত জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৪৯ শতাংশ। আমন ধান চাষ করতে গেলে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টির ঘাটতির জন্য এখনও একাধিক জায়গায় শুরু করা যায়নি আমন ধানের চাষ।চলতি মরশুমে মে ও জুন মাসে বাংলায় সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে তা উত্তরবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে সেই সময় থেকেই বৃষ্টি ঘাটতি পরিস্থিতি তৈরি হয়। জুলাই মাসে রাজ্যে সামগ্রিক ভাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
জেলায় জেলায় বৃষ্টির ঘাটতিও তাই মাথা চাড়া দিচ্ছে। নদিয়া জেলায় বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ৭৯ শতাংশ, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮১ শতাংশ, মালদা জেলায় ৯৫ শতাংশ, কোচবিহার জেলায় ৯০ শতাংশ, বীরভূম জেলায় ৭১শতাংশ, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৬৩ শতাংশ, হুগলি জেলায় ৫৬ শতাংশ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৫৭ শতাংশ।
তবে পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই ঘাটতি কমের দিকে। শুধুমাত্র হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে জুলাইয়ে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে।