প্রধানমন্ত্রীর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা, ডানলপের ময়দান ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ের উত্তাপ বেড়ে চলেছে রাজ্যজুড়ে। হলদিয়ার পর এবার ২১ এর নির্বাচনকে সামনে রেখে ডানলপে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইমতো ২২ তারিখ বিজেপির তরফে পুর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী স্থির করা হয়েছে।

বুধবার আরও একটু রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে ডানলপকে ঘিরে। এদিন সকালেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই ময়দানে পাল্টা জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো দুই তরফে মাঠ পরিদর্শনকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

এদিন বিজেপির তরফে মাঠ পরিদর্শনে উপস্থিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। একইসময়ে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ যাদব। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মন্তব্য, এটা কোনও পাল্টা সভা নয়, সমস্ত জেলায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরকমই এই একই ময়দানে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে দাবী করা হয়, জেলায় বড়ো মাঠের সংখ্যা কম। তাই এই মাঠটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সভা পুর্ব পরিকল্পিত। পাল্টা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই বিজেপি যেখানে সভা করছে সেখানেই অনুসরন করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ কিরণ বেদীর অপসারণ পুদুচেরির মানুষের জয়, দাবী মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর

হুগলীর বিজেপি সাংসদের দাবী, ২২ তারিখ মাঠে মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দেবে, মানুষ কার পক্ষে রয়েছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলী জেলায় তৃণমূলের ফল ভালো হলেও, ১৯ পর তা বদলে যায়। হুগলী আসন পায় বিজেপি। আরামবাগে তৃণমূল জয়ী হলেও মার্জিন ছিল একেবারে কম। রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে জায়গা পেয়েছে তৃণমূল।

বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই জেলার সমস্ত নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেইসঙ্গে জেলার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে জেলার দুই বিধায়ক  বেচারাম মান্না এবং রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মধ্যে দুরত্ব। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন উত্তরপাড়া বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

হুগলী থেকে কি শিল্পের প্রতিশ্রুতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? যা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। সেইসঙ্গে বিজেপির প্রভাব বিস্তার তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডানলপের মঞ্চ থেকে কি বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো? তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট