মিসড কলে চাকরি কই ? ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচার যুদ্ধ শুরু করল CPIM
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কোথায় গেল গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বাড়ি বাড়ি চাকরি, মিসড কল দিলেই হবে চাকরি। এই প্রশ্ন তুলে আসন্ন আগরতলা পুরনিগম ও আগামী বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করল ত্রিপুরার বিরোধী দল সিপিআইএম। টানা ২৫ বছর বামফ্রন্ট এ রাজ্যে সরকারে ছিল। গত বিধানসভার ভোটে বামেদের হারিয়ে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে।
বিধানসভা ভোটে ২০২৩ সালে। তার আগে চলে এসেছে আগরতলা পুর নিগমের ভোট। পার্বত্য উপজাতি এলাকার ভোটে টানা ১৮ বছরের বোর্ড হাতছাড়া ও সেখানে শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিআইএম এখন সমতল এলাকায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির বলে ভোটে ঝাঁপাচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিরা আগরতলায় আসেন। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলটির ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাক কর্মীদের কেন হোটেলে আটক করা হয়েছে এই প্রশ্নে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন তারা।
আরও একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন সিপিআইএম যুব নেতা ও বর্তমান তৃণমূল ট্রেডইউনিয়ন নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জি বলেন ত্রিপুরায় রাজনৈতিক লড়াই শুরু হচ্ছে নতুনভাবে। কোনওভাবেই বামপন্থীরা আর এই রাজ্যের মানুষের আশা ভরসা হতে পারছেন না।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী বাছতে দ্রুত ত্রিপুরায় যাবেন মমতা
এর পরেই বিরোধী দল সিপিআইএম তাদের ফেসবুক পেজে রাজ্যের কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিয়ে একের পর এক পোস্ট শুরু করেছে। সেই পোস্টগুলিতে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে কোথায় গেল আমার কাজ? দলের যুব ও উপজাতি সংগঠনের তরফে পোস্টার প্রকাশ করা হয়। ইতিমধ্যেই সেগুলো ভাইরাল।
বিজেপি নেতৃত্বে চলা কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় বিজেপি জোটের আমলে কর্মসংস্থান নিম্নগামী। মাস কয়েক আগেও দেশে বেরোজগারি সূচকে ত্রিপুরা ছিল দ্বিতীয়। এর জেরে রাজ্য সরকার প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে।
কর্মসংস্থানহীনতার চরম উদাহরণ হয়ে আছে গত বাম জমানায় নিয়োগ পাওয়া ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকার বিকল্প রোজগারের দাবিতে আন্দোলন। শতাধিক আন্দোলনকারী মৃত। কেউ আত্মহত্যা করেছেন, কেউ অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।