ফের রাতের অন্ধকারে ছাত্রদের ওপর হামলা, জেএনইউ –এর পর বিশ্বভারতী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  জেএনইউ –এর পর বিশ্বভারতী। রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে ঢুকে পেটানোর অভিযোগ উঠল এবিভিপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ বুধবার রাতে ছেলেদের হোস্টেলে ঢুকে মারধর করে এবিভিপির কিছু সদস্যরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবন বয়েজ হোস্টেলের সামনে মারধর চালায় গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা। ঘটনায় আহত হন স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং ফাল্গুনী পান।

ফেসবুকের এক পোস্টের মাধ্যমে স্বপ্ননীল জানিয়েছেন, বুধাবারেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা এবং ধস্তাধস্তি হয়। পড়ে একা পেয়ে ব্যাট, উইকেট এবং তক্তা দিয়ে হামলা চালানো হয় পড়ুয়াদের ওপর। আহতদের বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রক্তাক্ত জেএনইউ , দায় নেবে কে?

ঘটনায় এবিভিপির ছাত্রনেতা অচিন্ত্য বাগদী এবং সাবির আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের অভিযোগ হাসপাতালেও তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবিভিপির কিছু সমর্থক। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বর জুড়ে রয়েছে কড়া নজরদারি।

বেশ কয়েকদিন ধরে এনআরসি এবং সিএএ এর প্রতিবাদে সরব হয় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। বুধবার মধ্যরাতের ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাত থেকেই ছড়িয়ে পড়ে মারধরের ভিডিও।

বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা কিভাবে ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সম্মতি রয়েছে।

আহত ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে যখন ক্যাম্পাসে ভিসির গাড়ি প্রবেশ করে তখন তার সঙ্গে ছিল একাধিক বাইক। বাইকে করেই এবিভিপির সদস্যরা প্রবেশ করেছে। এমনটাই অভিযোগ আহতদের।

কয়েকদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। আলোচনা সভায় যোগ দিতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। পড়ে আলোচনা সভায় যোগ দিতে গেলে সাংসদকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তারই জবাব দিতে বুধবার রাতে এই হামিলা চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সম্পর্কিত পোস্ট