১৮ মাস কৃষি আইন মুলতবি ! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ কৃষকদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গের শীতের টালমাটাল অবস্থা থাকলেও রাজধানীতে এখনও রয়েছে শীতের পরশ। তারই মধ্যে কৃষক আন্দোলনের ঝাঁঝালো উত্তাপে ক্রমশ অস্বস্তিতে পড়ছে কেন্দ্র। কৃষি আইনের বিরোধিতায় অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কৃষকরা প্রায় দুমাস। তাতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় শামিল হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
এরইমাঝে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষক আইনকে হাতিয়ার করে বারবার কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এরই মাঝে কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমন করতেই আগামী ১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
তবে আইন পুরোপুরি প্রত্যাহার ছাড়া তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক প্রতিনিধিরা। যদিও এই বিষয়ে পরবর্তী বৈঠক ২২ জানুয়ারি।
বুধবার কৃষক আইন নিয়ে দশম দফায় বৈঠক করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকরা। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় আগামী দেড় বছরের জন্য স্থগিত করা যেতে পারে কৃষক আইন। বুধবার বৈঠকের পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে দেখবেন বলেন জানিয়েছেন কৃষক প্রতিনিধিরা।
কৃষক নেতা বালকিষাণ সিংহ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত প্যানেলের পর্যালোচনা যতদিন চলবে তিনটি কৃষক আইন মুলতবি রাখা যেতে পারে। এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে তিনি জানান, গোটা বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করছেন কৃষক প্রতিনিধিরা।
Govt has said it is ready to suspend the laws for one and half a year. In reply, farmers said that there is no point in suspending the laws and made it clear that we want the repeal of the laws: Farmer leader after tenth round of talks https://t.co/vYqeRuk2LV pic.twitter.com/K1tQN4TeHq
— ANI (@ANI) January 20, 2021
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে কৃষক আন্দোলন নিয়ে গোটা বিষয়টিই তাদের দিকেই ঠেলে দিয়েছে। কৃষকদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে কৃষক ও তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
নবম-দফা বৈঠকের পরেও কোন রফা সূত্র বের হয়নি। ৪০ টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন তারা সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান। কোনো কমিটির মাধ্যমে নয়। এমনকি তারা বেঁকে বসেন সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলতে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা
কৃষক আন্দোলনে শামিল এক নেতার কথায়, কমিটির সদস্যরা কৃষক আইনের পক্ষে ছিলেন। তাই তাদের সিদ্ধান্ত কোন দিকে যেতে পারে এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।সরাসরি কথা বলে সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার।
এই চাপান-উতোরের মাঝেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর মিছিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটাই সামলাতে হবে দিল্লি পুলিশকে । সুপ্রিম কোর্টে ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
২২ জানুয়ারি কেন্দ্র বনাম কৃষকদের বৈঠকে আদৌ কোন রফাসূত্র বের হয় কি না আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।