মমতার সেনাপতিঃ মন্ত্রীসভায় প্রথমবার অখিল গিরি

তৃতীয়বারের জন্য 215 আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল । মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবারের নির্বাচনে প্রথম থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। ক্যাবিনেট গঠনের পরে মন্ত্রী সভায় দেখা গেছে অনেক নতুন মুখ। দীর্ঘদিন ধরে যারা জেলাস্তরে রাজনীতি করেছেন দক্ষ সংগঠকের ভূমিকায় থেকেছেন, আজ তারা মমতার সেনাপতির ভূমিকায়। শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের মাটি ধরে রাখতে দক্ষ সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি।

প্রথমবার মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব নেওয়ার পর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন দ্য কোয়ারি কে।

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় এই প্রথমবার। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে আসা খুব সহজ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপহারের কতটা খুশি?

——-  এতদিন রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলে এসেছি। এবার নতুন দায়িত্ব পেলাম। ধন্যবাদ দিদিকে। ভালো লাগলো এটা দেখে যে দিদির আমার প্রতি আস্থা আছে। দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করবো। এতে মানুষ উপকৃত হবেন। আমারও ভালো লাগবে দলনেত্রীর আস্থা বজায় রাখতে পারলে।

  • এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীরর লড়াই। দিনের শেষে ফল অনুযায়ী পরাজিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিভাবে দেখছেন বিষয়টা?

——- নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে আমি চাইনা। রাজনৈতিক লড়াই আগেও ছিল। আগামী দিনেও থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন জেগেছে।

প্রথমত,  কাউন্টিং চলাকালীন সার্ভার কি করে এক ঘণ্টা বন্ধ করে দেওয়া হয়?আমিও প্রার্থী ছিলাম আমার কেন্দ্রে তো এমন ঘটনা হয়নি।দ্বিতীয়ত,  নন্দীগ্রামে 15 থেকে 20 মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না। হতে পারে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। কিন্তু তার জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। তাহলে বন্ধ কেন থাকবে?

আমার মনে হয়েছে এটা একটা ষড়যন্ত্র। যেদিন ইভিএম সরানো হয় নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়াতে, সেদিন দশটা বাক্স খোলা পাওয়া গিয়েছিল। এটা স্বীকার করেছিলেন এডিএম জেনারেল হলদিয়া মহাকুমা। এটা কেন হবে? আমাদের এলাকায় তো হয়নি। গোটা ঘটনাই ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়েছে। বাকি এই বিষয়ে যা বলার বা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় সুপ্রিমো নিশ্চয়ই করবেন।

  • ভোট-পরবর্তী হিংসার খবর কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। তবে আপনারা কিভাবে নিজের এলাকা শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন?

——- কিছু কিছু জায়গায় উত্তেজক কথা বলে উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে। আমি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেছি, ভোট শেষ আপনারা যাকে ভোট দিয়েছেন সেই দল ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং এলাকায় শান্তি বজায় রাখা আমাদেরই অবশ্য-কর্তব্য। গুজব ছড়ানো হচ্ছে ।আমি মনে করি প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখবে। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষকে সচেতন থাকার আবেদন জানিয়েছি।

সম্পর্কিত পোস্ট