অখিলের মন্তব্য ন্যাক্কারজনক, কিন্তু শুভেন্দুও কম যান না
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ
বাংলায় একটা বহু পুরনো প্রবাদ আছে- “খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে / কী কাল করল তাঁতি এঁড়ে গরু কিনে”!
রাজ্যের জেলখানাগুলোর মন্ত্রী অখিল গিরির ঠিক সেই অবস্থা হয়েছে। ভগ্নিপতির ছেলে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর এই মিঠেকাড়া সম্পর্ক বেশ চলছিল, কে কাকে কাকে বলে, কখন কে কার হাত-পা ভেঙে দেবেন বলে হুঙ্কার ছাড়েন তাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসী। কাঁথির দখল নিয়ে এই দুই পরিবারের রেষারেষিতে কেউ বিশেষ আমলও দিচ্ছিল না।
লোকের ব্যক্তিগত ব্যাপারে ঢুকে কী হবে, এটাই যেন মনোভাব! কিন্তু এর মাঝে খামোখা কেন যে দেশের রাষ্ট্রপতিকে টেনে আনতে গেলেন অখিল গিরি। তিনি যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন ও যে ভঙ্গিতে তা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছেন সেটা আরও বেশি করে কারামন্ত্রীর বোধবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি যে কোনও রাজনীতির উর্ধ্বে। তার উপর তিনি সংবিধানের রক্ষক। তাঁর সম্বন্ধে এমন মন্তব্য রীতিমতো অপরাধ। সর্বোপরি শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আকচাআকচি নিয়ে বলতে গিয়ে “তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে” বলে অখিল গিরি আদিবাসী সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর তোমার রাষ্ট্রপতি কি! রাষ্ট্রপতি তো সবার।
অপরাধীদের মতো আচরণ টেট পাশদের সঙ্গে, পুলিশের ভূমিকায় উঠল প্রশ্ন
কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পেরে অখিল গিরি বলেছেন, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারী বারবার কাকের মতো দেখতে বলে। আমার কষ্ট হয় না?” এই মন্তব্যে রাজ্যের কারামন্ত্রীর অন্তরের অভিমান ও অসহাতা স্পষ্ট। এখানেই এবার শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রসঙ্গ আসে। তিনি তো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সাংবিধানিক পদে আছেন। নাম না করে একজনকে লাগাতার ‘কাকের মতো দেখতে’ বলেন কী করে! এ তো পরিস্কার বডি শেমিং, দণ্ডনীয় অপরাধ।
রাজনীতির দণ্ডমুণ্ডের ক্রেতারাই যদি বডি শেমিং করে বেড়ান তবে সমাজের যে বোধ গড়ে উঠবে না তা স্পষ্ট। তাতে অখিল গিরিদের মন্তব্য নিয়ে নানান সময়ে শুধু রাজনীতিই হবে।